বিশ্ব ডেস্ক: টিকটক নিষিদ্ধের প্রক্রিয়ার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে এই অ্যাপ আবার চালু হয়েছে। শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাত থেকে টিকটক অন্ধকারে চলে গেলেও রবিবার দুপুরে ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর অ্যাপটি পুনরায় চালু হয়।
টিকটকের পলিসি এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে জানানো হয়, “আমাদের সেবা প্রদানকারীদের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে টিকটক পরিষেবা পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। আমরা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাই, যিনি আমাদের সেবা প্রদানকারীদের উপর কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এটি ১৭০ মিলিয়নেরও বেশি আমেরিকানের এবং ৭ মিলিয়ন ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য একটি বড় সহায়তা।”
টিকটক নিষিদ্ধের উদ্দেশ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার জানিয়েছিল, এই অ্যাপ এবং এর চীনা মালিকানাধীন প্যারেন্ট কোম্পানি বাইটড্যান্স জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। এপ্রিলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি আইন স্বাক্ষর করেন, যা টিকটককে যুক্তরাষ্ট্রে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হলে তাদের মার্কিন অংশ বিক্রি করতে হবে বলে বাধ্য করে।
সুপ্রিম কোর্ট বাইটড্যান্সের দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানায় যে, এই নিষেধাজ্ঞা ব্যবহারকারীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার লঙ্ঘন নয়। শুক্রবার টিকটক জানায় যে, তারা রবিবার অ্যাপটি বন্ধ করে দেবে। তবে, যারা আগে থেকেই অ্যাপটি ডাউনলোড করেছেন, তাদের জন্য রবিবার দুপুরে পরিষেবা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
অ্যাপ স্টোরে টিকটক এখনও অনুপলব্ধ। তাই যারা অ্যাপটি মুছে ফেলেছিলেন, তারা এটি আর ডাউনলোড করতে পারছেন না। তবে, যারা অ্যাপটি ধরে রেখেছেন, তারা রবিবার এর প্রত্যাবর্তন উদযাপন করেছেন।
রবিবার একটি র্যালিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “আমি অনুমোদন দেব, তবে যুক্তরাষ্ট্রকে টিকটকের ৫০% মালিকানা নিতে হবে। আমরা এটি যৌথ উদ্যোগ হিসেবে করব।”
চীনা সরকার এই বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, “টিকটক বহু বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করছে এবং এটি আমেরিকানদের কাছে খুব প্রিয়। আমরা আশা করি যুক্তরাষ্ট্র যুক্তিসংগত সিদ্ধান্ত নেবে এবং ব্যবসার জন্য ন্যায়সঙ্গত পরিবেশ তৈরি করবে।”
সূত্র: এপি, রয়টার্স
বিএনএ,এসজিএন