বিএনএ,জামালপুর : জামালপুরের বকশীগঞ্জে বাড়ির রাস্তা বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ায় ৭ মাস ধরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে পাঁচটি পরিবার। ফলে বৃদ্ধ, অন্তঃসত্ত্বা ও শিক্ষার্থীসহ ৫০ জন লোক স্বাভাবিক চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
জানা যায়, জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধরারচর গ্রামের সহিজল হকের ছেলে এনামুল হকের সঙ্গে একই গ্রামের নুর নবীর পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিবাদ হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শত বছরের প্রাচীন চলাচলের সড়ক বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে করে দেয় এনামুল। ফলে নুর নবীসহ ৫ পরিবারের স্বাভাবিক চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ৫০ জন সদস্য অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। প্রয়োজনে অনেক পথ ঘুরে অতিকষ্ট করে চলাফেরা করে আসছেন অবরুদ্ধ পরিবারের লোকজন। একই কারণে অবরুদ্ধ পরিবারের বয়োবৃদ্ধ, অন্তঃসত্ত্বা ও শিক্ষার্থীরাও চরম ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছেন।
বকশীগঞ্জের গোপালপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী অবরুদ্ধ পরিবারের সদস্য রিমি বেগম জানায়, বাঁশের বেড়া দিয়ে যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেওয়ায় আমাদের পরিবারের লোকজনের স্বাভাবিক চলাচলের চরম বিঘ্ন ঘটছে। গ্রামের লোকজনকে একাধিকবার বলার পরেও বিষয়টির কোন সমাধান হয়নি।
অবরুদ্ধ বয়োবৃদ্ধ মহিরন বেওয়া (৮০) বলেন, বাঁশের বেড়া দিয়ে যাতায়াতের রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিবেশী এনামুল হক। বেড়া খুলে না দিয়ে আরও হুমকি দিয়ে আসছে। তার হুমকির মুখে আমাদের পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। যে কোন সময় প্রতিপক্ষরা আমাদের পরিবারের লোকজনকে বড়ধরণের ক্ষতি সাধন করতে পারে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য শালিস বৈঠক হয়েছে। তবে সমাধান সম্ভব হয়নি।
অভিযুক্ত এনামুল হক বলেন, যাতায়াতের পথ বন্ধ করা হয়নি। আমাদের জমিতে আমরা বাঁশের বেড়া দিয়েছি। কোন পরিবারকে অবরুদ্ধ করার জন্য বেড়া দেয়নি। নিজের পরিবারের নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করেই বাঁশের বেড়া দিয়েছি।
এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনমুন জাহান লিজা বলেন, কারো চলাচলের পথ বন্ধ করার অধিকার কারও নেই। অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনএ/ এম শাহীন আল আমীন, ওজি