বিএনএ, ঢাকা: রাজধানীর তেজগাঁও রেলস্টেশন এলাকায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনের ঘটনায় নিহত খোকন মিয়া (৩৫) ও আব্দুল রশীদ ঢালীর (৬০) মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে রেলওয়ে পুলিশ।
বুধবার(২০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে খোকন মিয়ার মরদেহ তার স্ত্রী সাজনের কাছে এবং রশিদ ঢালীর মরদেহ তার ছেলে মামুনের কাছে হস্তান্তর করেন পুলিশ।
নিহত রশিদ ঢালীর ভাতিজা বেলাল আহমেদ বলেন, ‘আমি খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে চাচার মরদেহ শনাক্ত করি। আমার চাচার কোমরে তাবিজ, হাতে আংটি, গায়ের পোশাক দেখে চিনতে পারি। পরে তার ছেলে মামুন এসেও চাচার মরদেহ শনাক্ত করে। ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ আমাদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেছেন। মরদেহ এখান থেকে নেত্রকোনার সদরের বড় বাজারে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে দাফন করা হবে।
নিহত খোকনের স্ত্রী সাজন বলেন, ‘ভাস্তির বিয়ের জন্য আমার শাশুড়ি ও আমার ছোট মেয়েকে নিয়ে বৃহস্পতিবার উনি গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে যান। সোমবার রাতে ট্রেনে করে সে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করেন। ওইদিন রাত ৯ টায় আমার সঙ্গে মোবাইলফোনে কথা হয়, এরপর তার সঙ্গে আর কথা হয়নি। পরে জানতে পারলাম ট্রেনে আগুন লেগে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু আমি আমার স্বামীর মোবাইলে অনেকবার কল দিয়ে সংযোগ পাইনি।’
ঢাকা মেডিকেলের মর্গে এসে দুটি মরদেহ দেখি। এর মধ্যে একটি মরদেহ পাঞ্জাবি পরা, দাঁতে দাগের চিহ্ন ও মুখমন্ডল দেখে আমার স্বামীকে চিনতে পেরেছি। পুলিশ মরদেহ শনাক্তের পর ময়নাতদন্ত শেষে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। মরদেহ নিয়ে আমরা সুনামগঞ্জে চলে যাব সেখানে জানাযা শেষে তাকে দাফন করা হবে।’
খোকনের স্ত্রী সাজন আরও বলেন, ‘আমিও আমার স্বামী ক্রোনি গ্রুপের অবন্তী কালার টেক্সটাইলে কাজ করি। আমার স্বামী ওই টেক্সটাইলের অ্যাসিস্ট্যান্ট অপারেটর হিসেবে কাজ করতো। আমরা এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের বিসিক এলাকায় থাকি।’
কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেতাফুর রহমান বলেন, ‘দুই পরিবারের স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করেন। তাদের শনাক্তের ভিত্তিতে স্বজনদের কাছে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।’
বিএনএ / ওজি