বিএনএ ডেস্ক: দেশের উত্তরের জেলাগুলোতে জেঁকে বসেছে হাড় কাঁপানো শীত। কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে অনেক এলাকা। কিছু জায়গায় সকাল থেকে রোদের দেখা মিললেও শীতের তীব্রতা বেশী। উত্তরের হিমেল বাতাসে কাবু হয়ে পড়েছে এসব জেলার মানুষ। তাপমাত্রার হিসেবে শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও শীতের প্রকোপ অনেক।
পঞ্চগড়ে পৌষের প্রথম সপ্তাহেই জেঁকে বসেছে হাড় কাঁপানো শীত। এই জেলায় পাঁচ দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। পাশাপাশি অসহায় দরিদ্র মানুষগুলো শীতবস্ত্রের অভাবে অতিকষ্টে দিনযাপন করছেন। রোববার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সারাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র শীতে নদনদী বেষ্টিত জেলা কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ চরমে। শীত বেড়ে যাওয়ায় দুঃচিন্তায় আছেন কৃষক ও দৈনিক খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে আসছে বোরো মৌসুমে মজুরি বিক্রি করে রোজগারের সম্ভাবনায় শীতের তীব্রতা তাদের কপালে ভাঁজ ফেলেছে।
প্রান্তিক মানুষের এমন কষ্টের কথা ভেবে স্থানীয় প্রশাসন শীত নিবারণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসনের দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা শাখা।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, শীতে জেলার মানুষ যেনো কষ্ট না পান সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বিভিন্ন এনজিও থেকেও কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। উপজেলাগুলোতে সেগুলো বণ্টন করা হয়েছে। শীতে মানুষের কষ্ট লাঘব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
উত্তরের সীমান্ত জেলা দিনাজপুরেও জেঁকে বসেছে শীত। সকাল থেকে রোদের দেখা পাওয়া গেলেও এই জেলায় কমছেনা শীতে তীব্রতা। কনকনে ঠান্ডা হাওয়ায় কাবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে খেটে খাওয়া, দরিদ্র অসহায় মানুষগুলো বিপাকে আছেন। কাজে যেতে পারছেন না দিনমজুররা।
লালমনিরহাট ও গাইবান্ধায় ঠান্ডা বাতাস ও কুয়াশা বেড়ে গেছে। শীতের প্রকোপ বাড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ বয়স্করা।
এদিকে, আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস বলছে, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের বেশিরভাগ জেলা, সিলেটের মৌলভীবাজার, খুলনা বিভাগের যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে। রাজধানীসহ দেশের প্রধান শহরগুলোতে আপাতত শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা না থাকলেও আগামি কয়েক দিন তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, জানুয়ারির শুরুতে মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। দুই-এক দিনের মধ্যে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে তাপমাত্রা কমে যেতে পারে বলে জানান তিনি।
বিএনএনিউজ/আরকেসি