বিএনএ, সাভার : ঢাকার ধামরাইয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অসুদপায় অবলম্বনের অভিযোগে দুই কেন্দ্রের ২১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের গণহারে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে হতাশা ও ক্ষোভ জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন শিক্ষকরা।
সোমবার (১৯ সেপ্টম্বর) রাতে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী ২১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নির্বাহী অফিসার হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি বলেন, একে অপরের খাতা দেখা ও নকল করাসহ পরীক্ষায় অসুদপায় অবলম্বনের অভিযোগে ২১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের মধ্যে যাদবপুর বিএম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ১৯ জন ও নবযুগ কলেজ কেন্দ্রে ২ জন শিক্ষার্থী।
২১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে এর সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করেছেন শিক্ষকরা।
সাভারের আশুলিয়ার আলহেরা রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলম বলেন, আমাদের স্কুলের ৩৪ জন পরীক্ষার্থী যাদবপুর বিএম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এবছর পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। আজ ইংরেজি প্রথমপত্র পরীক্ষা শুরুর পরপর আমাদের স্কুলের দুইটা বাচ্চার খাতা দেখে অন্য দুই শিক্ষার্থী লেখার অপরাধে তাদের চারজনকেই এক্সপেল (বহিষ্কার) করে। একই কেন্দ্রে মোট ১৮-১৯ শিক্ষার্থীকে এক্সপেল করেন ইউএনও।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেকটা বাচ্চার একি সমস্যা। কেন্দ্রেতো দেখা গেছে বাচ্চারা একটু দেখাদেখি করে। এই অপরাধে এক্সপেল করা কোন ভাবেই সম্ভব না। এখন তার ক্ষমতা আছে সে প্রয়োগ করছে। আমাদের আসলে কিছু বলার নাই। একটা বাচ্চারও কোন এভিডেন্স পায় নাই যে তারা নকল করছে। এখন এক বাচ্চার সাথে যদি আরেক বাচ্চার খাতা মিলায়। তাহলেতো সব বাচ্চাই বহিষ্কার হওয়ার কথা।’
‘এটার একটা সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার সে যেই হোক। একজন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছেতো এই ধরণের ব্যবহার আশা করা যায় না। তার পাওয়ার বা পদের সাথে আচরণেরও একটা মিল থাকতে হবে। বাচ্চারা যদি একজন আরেকজনের সাথে দেখাদেখি করে এটার জন্য ২০-২৫ মিনিট তাদের খাতা রেখে দিতো। কিন্তু এক্সপেল করাটা কোন ভাবেই কাম্য না।’
বিএনএনিউজ/ইমরান খান/এইচ.এম।