বিএনএ, চবি: বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গণহত্যাকে সমর্থন ও ফ্যাসিস্টদের হয়ে কাজ করাসহ ৭ টি অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সাবেক সহকারী প্রক্টর হাসান মুহাম্মদ রোমান শুভ’র অব্যাহতি চায় অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) অনুষদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ডিন বরাবর এ বিষয়ে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, আমরা, আইন বিভাগের বর্তমান সকল ব্যাচের সকল শিক্ষার্থী সর্বসম্মতিক্রমে জানাতে চাই যে, আমরা হাসান মুহাম্মদ রোমান শুভ (শিক্ষক আইন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়) এর আইন বিভাগের শিক্ষকতা পেশা থেকে অব্যাহতি চাই।
তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ হলো- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে পতন হওয়া ফ্যাসিস্ট সরকারের কর্মকান্ড ও ২৪ এর গণহত্যাকে সমর্থন দেওয়া এবং ফ্যাসিস্টদের দোসর হিসেবে কাজ করা, ছাত্রদের নিজের বাসায় ডেকে মাদকের আসর বসানো এবং নেশাগ্রস্থ অবস্থায় ছাত্রদের ব্যক্তিগত জীবন ও আইন বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষকদের নিয়ে অকথ্য ভাষায় কথা বলা গালিগালাজ করা এমনকি অনেক ছাত্রকে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য ব্যবহার করা, ছাত্রলীগকে মদদ দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হুমকি দেয়া এবং রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করা, ক্লাস পরিচালনাকালীন সময়ে এবং নিজ অফিসকক্ষে ডেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ট্যাগ দেয়া (যেমন জামাত/শিবির এর এজেন্ট এবং অন্যান্য), বিভিন্নভাবে হয়রানি করা এবং ক্লাসের মধ্যে ছাত্রদের টার্গেট করে হেয় প্রতিপন্ন করা, প্রক্টর থাকাকালীন সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করা এবং ক্যাম্পাসের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের মদদ দেওয়ার মাধ্যমে সাধারণ ছাত্রদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে হয়রানি করা, ছাত্রদের রেজাল্ট নিয়ে হুমকি দেওয়া, ভয়ভীতি প্রদর্শণ করা এবং শিক্ষক হিসেবে তার একাডেমিক ও নৈতিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, উপরিউক্ত সব অভিযোগই সত্য ও সাধারণ ছাত্ররা এর ভুক্তভোগী।
অতএব শিক্ষকতা থেকে তাকে অব্যাহতি প্রদান করা হোক অথবা ২৪ ঘন্টার মধ্যে তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে সাধারণ ছাত্রদের মুক্তির পথ সুগম করুক। অন্যথায় সর্বাত্মক আন্দোলনেরও হুশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, শিক্ষার্থীরা একটি আবেদন করেছে। আমি সেটা গ্রহণ করেছি। এটি একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। তদন্ত হবে এরপর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনএনিউজ/ সুমন/ বিএম/এইচমুন্নী