বিএনএ, ঢাকা : রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রথমবারের মতো জাতীয় সমাবেশ করতে গিয়ে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সমাবেশস্থল ছাড়িয়ে আশেপাশের কয়েক কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে ছিল নেতাকর্মীদের ভিড় । লাখ লাখ লোক সমাগম করে নতুন শক্তির জানান দিয়েছে জামায়াত।

১৯ জুলাই শনিবার অনুষ্ঠিত জাতীয় সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আগামীর বাংলাদেশে আরেকটা লড়াই হবে। একটা লড়াই হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। সেই লড়াইয়েও আমরা জয়লাভ করব।’
তিনি বলেন, চাঁদা আমরা নেব না, নিতেও দেব না। দুর্নীতি আমরা করব না, করতেও দেব না।
বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি দুইবার অসুস্থ হয়ে মঞ্চে লুটিয়ে পড়েন। পরপরই আবার উঠে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিতে শুরু করেন। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে ডাক্তাররা তাকে চিকিৎসা দেওয়া শুরু করেন। চিকিৎসা দেয়া অবস্থায় তিনি বক্তৃতা চালিয়ে যেতে থাকেন ।
তিনি বলেন, আবু সাঈদরা যদি না দাঁড়াত, তাহলে ২৪ জীবনবাজি রাখা যুদ্ধটা না হলে, আজকে যারা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া করছেন, তাদের দাবিগুলো কোথায় থাকত। সুতরাং আমাদের প্রিয় শহিদদের হেয় করা যাবে না। অহংকার করা যাবে না। কোনো রাজনৈতিক দলকে অপমান করা যাবে না। যদিও কেউ এগুলো করে, তাহলে তাদের মধ্যে ফ্যাসিবাদের রোগ বীজ বুনেছে।
জামায়াত আমির বলেন, আজ আমি ঘোষণা দিচ্ছি, লাখো জনতাকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে যারা আগামীতে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করবেন, কোনো এমপি, কোনো মন্ত্রী সরকার থেকে কোনো প্লট গ্রহণ করবে না, ট্যাক্সবিহীন গাড়িতে চড়বে না, নিজের হাতে টাকা চালাচালি করবে না, নিজেদের নির্দিষ্ট কাজের জন্য যে বরাদ্দ পাবেন, কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১৮ কোটি মানুষের কাছে হিসাবের প্রতিবেদন তুলে ধরবেন।
এর আগে ৭ দফা দাবিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুপুর ২টায় কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। তবে সমাবেশের কার্যক্রম সকাল থেকেই চলে। সারাদেশ থেকে লাখ লাখ নেতাকর্মী এই সমাবেশে যোগ দেন। জামায়াত নেতারা ছাড়াও বিভিন্ন দলের নেতা ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দেন। জামায়াত আমিরের বক্তব্যের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হয় জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ।
বিএনএ/শামীমা চৌধুরী শাম্মী/এইচ.এম।