17 C
আবহাওয়া
৮:১৫ পূর্বাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » কর্ণফুলীতে দল বেঁধে অফিস ফাঁকি দিচ্ছে ১৪ সরকারি কর্মকর্তা!

কর্ণফুলীতে দল বেঁধে অফিস ফাঁকি দিচ্ছে ১৪ সরকারি কর্মকর্তা!


বিএনএ, চট্টগ্রাম: নতুন সময়সূচি অনুযায়ী অফিস চলার সময় সূচি সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টার কথা থাকলেও কর্ণফুলী উপজেলায় ইউএনও-এসিল্যাণ্ড ছাড়া ১৪ সরকারি কর্মকর্তা নির্দিষ্ট সময়ে কেউ অফিসে উপস্থিত হননি। অথচ ঈদের ছুটির পর অফিস খুলেছে। দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের একই নিয়ম চলছে।

গত ৩ জুন নতুন সময়সূচি অনুযায়ী যথারীতি কোর্ট-কাচারী ও স্টক মার্কেট চলার সিদ্ধান্ত হয়  মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে। সেক্ষেত্রে নিয়ম না মেনে কর্ণফুলীতে দল বেঁধে অফিস ফাঁকি দিচ্ছেন ১৪ সরকারি কর্মকর্তা।

উপজেলার বিভিন্ন সরকারি অফিসে সকাল ৯ টায় গিয়ে এমনই দৃশ্য ধরা পড়েছে। নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ইচ্ছেমতো অফিস করছেন উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের বেশির ভাগ কর্মকর্তা। এতে ভোগান্তির শেষ নেই সেবা প্রত্যাশীদের।

সমাজ সেবা, হিসাব রক্ষক, নির্বাচন অফিস, এলজিইডি অফিস, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অফিস, সহকারী প্রোগ্রামার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, কৃষি অফিস, উপজেলা সমন্বয়কারী, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা, মান নিয়ন্ত্রণ ল্যাবরেটেরি, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, উপজেলা পরিসংখ্যান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাদের কেউ অফিসে আসেনি। এর মধ্যে কয়েকটি অফিস খোলা থাকলেও কোন অফিসার নেই। গুটিকয়েক কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের জারি করা এক পরিপত্রে নতুন নিয়মে জানানো হয়, সকল সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের সকাল ৯ টায় নিজ দপ্তরে উপস্থিত হতে হবে।  নতুন সময়ে অফিসে বিকাল ৫টা পর্যন্ত থাকা বাধ্যতামূলক।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি কর্মচারি শৃঙ্খলা আইন ২০১৪-এ বলা হয়েছে, কোনো কর্মকর্তা কর্মচারি পরপর দুইদিন দেরিতে কার্যালয়ে আসলে তার এক দিনের মূল বেতন কাটা যাবে। অফিসের সময় শেষ হওয়ার আগে বের হয়ে গেলেও এক দিনের বেতন কেটে নিবে সরকার। কিন্তু আইন এর প্রয়োগ নেই। আইনটি কাগুজে আদেশে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সচেতন মহল।

কর্ণফুলীর এসব সরকারি কর্মকর্তাদের অফিসে সেবাগ্রহীতা সেবা নিতে গিয়ে ফিরে আসতে হয় খালি হাতে। বিষয়টি যেন দেখার কেউ নেই। ফলে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। এদিকে অফিস ফাঁকি দেওয়া কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল ও সেবাপ্রত্যাশীরা।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী অফিসে উপস্থিত ছিলেন না। পরে ফোন করা হলেও ফোন রিসিভ করেননি। অফিস ফাঁকি দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমি দুই দিনের ছুটি নিছি। ১৯ ও ২০ জুন আমি ছুটিতে আছি। তাই অফিসে যায়নি।’

উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার বাবুল চন্দ্র নাথকে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোন রিসিভ করেননি। তবে জানতে চাইলে সমাজ সেবা অফিসার সবুর আলী বলেন, ‘আমার দেশের বাড়ি খুলনা। ঈদের ছুটি শেষে আসতে একটু দেরি হলো।’

নাম না প্রকাশ করার শর্তে কর্ণফুলী উপজেলা সরকারি অফিসের এক কর্মচারি বলেন, ‘শুধু আজকে না প্রতিদিন এসব কর্মকর্তা অফিস ফাঁকি দেন। এভাবে চলতেছে বহুদিন। আমরা কয়েকজন কর্মচারি শুধু অফিসে নিয়মিত থাকি। আইন সবার জন্য সমান হওয়া দরকার।’

জানতে চাইলে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুমা জান্নাত বলেন, ‘কয়েকজন ছাড়া সবাই এসেছেন৷ কয়েকজন ছুটিতে।’

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান বলেন, ‘ইউএনও এবং এসিল্যাণ্ড হচ্ছেন সরাসরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে। বাকি সকল অফিসারদের স্ব স্ব অফিসের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ আলাদা রয়েছে। তাঁরাই নিয়ম শৃঙ্খলা দেখেন। তবুও আমরা বিষয়টি নিশ্চিত করতে ইউএনও-এসিল্যান্ডকে জানাবো।’

বিএনএনিউজ২৪ডটকম 

Loading


শিরোনাম বিএনএ