22 C
আবহাওয়া
৮:১০ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ১৫ লাখ টাকার ছাগল নিয়ে যা বললেন ইফাত

১৫ লাখ টাকার ছাগল নিয়ে যা বললেন ইফাত


বিএনএ, ঢাকা: এবার কুরবানির বাজারে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসে এক কোটি টাকার গরু এবং ১৫ লাখ টাকা দামের ছাগল। দুটি পশুই দেশের সবচেয়ে বড় এগ্রো ফার্ম হিসেবে পরিচিত সাদিক এগ্রোর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গণ্ডি পেরিয়ে এই দুই পশু জায়গা করে নেয় গণমাধ্যমে। ঈদের আগে আলোচনায় ওঠা ১৫ লাখ টাকা দামের সেই ছাগল রয়ে গেছে সাদিক এগ্রোতে। আলোচিত তরুণ ইফাত ছাগলটির জন্য অগ্রিম কিছু অর্থ দিলেও তা নেননি তিনি। এমনকি ক্রেতাকে ফোনেও পাচ্ছে না ছাগল বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান।

এক কোটি টাকার গরু বিক্রি করে প্রথমেই সমালোচনার মুখে পড়ে সাদিক এগ্রো। ‘কোরবানিকে লোক দেখানো এবং বিলাসিতা বানানো হয়েছে’ – এমন অভিযোগ ওঠে সাদিক এগ্রোর বিরুদ্ধে।

এরপর সামনে আসে ১৫ লাখ টাকার ছাগলটি। প্রায় ৬ ফিট উচ্চতার ছাগলটির ওজন বলা হয় ১৭৫ কেজি। দেশে এ যাবত পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ছাগল হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় এটিকে।

এরপর তথ্য আসে একজন তরুণ ছাগলটি কিনে নিয়েছেন। ক্রেতা রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকার বাসিন্দা। একটি ভিডিওতে তিনি ছাগলটি কেনার বিষয়টি নিশ্চিতও করেন। পরে জানা যায়, ওই ক্রেতার নাম মুশফিকুর রহমান ইফাত।
প্রচারিত ভিডিওতে তিনি বলেছিলেন, ‘স্বপ্ন ছিল এ রকম একটা খাসির। এ রকম খাসি আগে কখনো দেখি নাই। এই প্রথম দেখা। এটা আমার হবে জানা ছিল না। আল্লাহ নসিবে রাখছে তাই হইছে।’

ঈদের পর জানা যায়, মুশফিকুর রহমান ইফাত ছাগলটি গত ১২ জুন নিতে আসার কথা থাকলেও তিনি তা নিতে আসেননি।

যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোনে তিনি জানান, সাদিক এগ্রোর কর্ণধার ইমরানের অনুরোধে ছবি তুলেছেন তিনি। খাসিটি কেনার জন্য না।

তিনি বলেন, সাদিক এগ্রোর যিনি মালিক ইমরান ভাই। তার কথা অনুযায়ী আমি ছবি তুলি। পরে সবাইকে বলি খাসিটি কিনেছি। আসলে খাসিটি কেনা হয়নি, সেটা বাসায়ও আনা হয়নি। সেটি কুরবানিও দেয়া হয়নি। কিন্তু তার কারণে আজকে আমাকে এদিন দেখতে হবে তা আমি কোনো দিনও বুঝিনি।

পরে যোগাযোগ করা হলে সাদিক এগ্রোর মালিক ইমরান জানান, খাসিটি ১২ লাখে কেনার জন্য এক লাখ টাকা বায়না করেছিলেন ইফাত। পরে বিষয়টি ভাইরাল হলে আর খাসিটি নেননি তিনি। কুরবানির আগ পর্যন্ত এগ্রো থেকে বার বার যোগাযোগ করা হলেও রেসপন্স করেননি ইফাত।

তিনি আরও বলেন, ইফাত নামের একটি ইয়াং ছেলে ২০ থেকে ২২ বছর হয়তো বয়স হবে। ও আমার কাছে ছাগলটা কিনছে, দামাদামি করছে। আমাকে এক লাখ টাকা বুকিং দিয়ে গেছে। ১২ তারিখে বাকি টাকা দিয়ে ছাগলটা নেয়ার কথা। ১১ তারিখ দিবাগত রাত থেকে আমরা তাকে আর যোগাযোগ করতে পারছি না। ছাগলটা এখনো আমাদের খামারে আছে। সে ছাগলটা ব্যালেন্স টাকা দিয়ে ডেলিভারি নেয় নাই।

এদিকে ইফাতের ফেসবুক ঘেটে দেখা যায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমান তার বাবা। যদিও গণমাধ্যমে ইফাত তার ছেলে নয় বলে দাবি করেছেন মতিউর রহমান।

বিএনএ/এমএফ/ হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ