সোমবার (২০ মে) সকাল ৬টা থেকে ইউপিডিএফের অবরোধ শুরু হয়। চলবে দুপুর ১২টা পর্ষন্ত।
অবরোধের প্রভাবে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম ও রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। অবরোধ সমর্থনে রাঙামাটি শহরে কোনো ধরনের পিকেটিং চোখে না পড়লেও রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের সাপছড়ি, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের কুতুকছড়ি, ঘিলাছড়ি এলাকায় ইউপিডিএফ কর্মীরা অবস্থান নিয়ে রাস্তায় গাছ জ্বালিয়ে বিক্ষোভ, মিছিল ও সমাবেশ করছে। এসময় রাস্তায় কিছু পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়ে। তবে শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
রাঙামাটি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহেদুল ইসলাম জানান, রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের সাপছড়ি এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ সমর্থনকারীরা গাড়ি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। উভয় দিকেই শত শত গাড়ি আটকা পড়েছে। তাদের বুঝিয়ে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়া রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কেও গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ করা হয়েছে। তবে কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাঙামাটির লংগদু উপজেলার বড় হাড়িকাবাস্থ ভালেদীঘাট এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ইউপিডিএফ কর্মী বিদ্যাধন চাকমা ও সমর্থক ধন্যমনি চাকমা নিহত হন। এ ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) দায়ী করছে ইউপিডিএফ।
বিএনএ/এমএফ/এইচ.এমএইচমুন্নী