কিন্তু সাম্প্রতিক কালে একটি মহল মন্দিরটিকে সর্বজনীন করার অজুহাতে তার নাম থেকে ‘নন্দীপাড়া’ শব্দটি তুলে দেয়ার জন্যে উঠেপড়ে লেগেছে। মন্দিরটির বর্তমান ‘কথিত’ সভাপতির নির্দেশে কিছুদিন আগে মন্দিরটির নাম থেকে ‘নন্দীপাড়া’ শব্দটি বাদ দিয়ে শুধু ‘কালীবিগ্রহ মন্দির’ লিখে একটা নামফলক তৈরি করে মন্দিরের তোরণে লাগিয়ে দেয়া হয়। আমরা নন্দীপাড়াবাসীরা এর প্রতিবাদ জানালেও তাতে কর্ণপাত করা হয়নি।
পরে আমরা এ ব্যাপারে রাউজান কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও প্রতিবেশী চিকদাইর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, তথা রাউজানের হিন্দু সমাজের জন্যে মাননীয় এমপি ফজলে করিম চৌধুরী এমপি মহোদয় নিযুক্ত অভিভাবক শ্রী প্রিয়তোষ চৌধুরীকে অবহিত করলে, তিনি মন্দিরটির আসল নাম বহাল রেখে নতুন নামফলক লাগানোর জন্যে মন্দির কমিটিকে নির্দেশ দেন।
কিন্তু দীর্ঘ চার মাস কেটে যাওয়ার পরও কমিটি এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় রাউজান কেন্দ্রীয় উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে মন্দিরটির মূল নাম ‘নন্দীপাড়া কালীবিগ্রহ মন্দির’ লেখা একটা ব্যানার পূর্ববর্তী ভুল নামফলকটির ওপর লাগিয়ে দেয়া হলে, কমিটির সভাপতির নির্দেশে সাধারণ সম্পাদক ও অন্য কেউ বা কারা মিলে ব্যানারটি ছিঁড়ে ফেলেছে।
আমরা এ অপকর্মের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ এলাকার প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, যেমন– নন্দীপাড়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নন্দীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নন্দীপাড়া পল্লীমঙ্গল সমিতির মতো কালীবিগ্রহ মন্দিরটিও তার নামের সঙ্গে ‘নন্দীপাড়া’ শব্দটি চিরকাল বহন করে আসছে। নামটি পরিবর্তনের এই ঐতিহ্যবিরোধী তৎপরতার তীব্র নিন্দা করছি।
রাউজান কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের লাগানো ব্যানারটি ছিঁড়ে দেয়ার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানতে পেরেছি। আমরা এ পদক্ষেপকে স্বাগত ও সাধুবাদ জানাই।
আমরা নন্দীপাড়াবাসীর পক্ষ থেকে যেকোনো মূল্যে ঐতিহ্য রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ‘নন্দীপাড়া কালীবিগ্রহ মন্দির’ নামেই আমাদের প্রিয় মাতৃমন্দিরটি উল্লিখিত হবে, যেমনটা চিরকাল হয়েছে ও হচ্ছে।