বিএনএ, চট্টগ্রাম : মহানবী ও রসুল হয়রত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দুখী মানুষের পাশে দাঁড়ানো, মানুষের দুঃখে কষ্টে পাশে থাকা, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া একটি উত্তম ইবাদত। সেই ইবাদতে শামিল হয়েছেন মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত, বিশিষ্ট ব্যবসায়ি ছাগলনাইয়া উপজেলার যশপুর গ্রামের মিজানুর রহমান মজুমদার। ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, ও পরশুরামের গবীব- অসহায় মানুষের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল পাড়া খ্যাত প্রবর্তক এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেন অতিথিশালা। সেখান রোগী ও তার স্বজনরা অবস্থান করে চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন।
দানবীর মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মজুমদারের পিতা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বীব মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আহমেদ ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত এই অতিথিশালায় চিকিৎসা নিতে আসা গরীব রোগীদের শুধু থাকার ব্যবস্থা করা হয়নি, তাদের চিকিৎসার জন্য দেয়া হয় আর্থিক সহায়তা।
সমাজ সেবক মিজানুর রহমানের এই অতিথি শালায় অবস্থান করে চিকিৎসা সেবা পেয়ে খুশী ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া- ফুলগাজী পরশুরামের মানুষ।
অতিথিশালা প্রতিষ্ঠা করার অনুপ্রেরণা কার কাছে পেয়েছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মানবতার ফেরিওয়ালা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানালেন, তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম সুলতান আহমেদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকার মানুষকে সহায়তাই তার অনুপ্রেরণা।
সব ধর্মে মানবসেবার প্রতি গুরুত্ব রয়েছে। বিশেষ করে ইসলাম ধর্মে মানবসেবার গুরুত্ব অপরিসীম। ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে আল্লাহকে কাছে পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম হলো মানবসেবা। মানুষের সঙ্গে মানুষের ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের জন্যে অনুপ্রেরণা দেয় ইসলাম। মানুষের সেবা করতে এবং তার কষ্ট, অসুবিধা দূর করার জন্যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দিয়েছেন। ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মজুমদার সেই পথেই হাঁটছেন।
বিএনএ/ শামীমা চৌধুরী শাম্মী, ওজি