বিএনএ ডেস্ক: বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যতটুকু স্বচ্ছতা এসেছে, তা আওয়ামী লীগের আন্দোলনের ফসল। বিএনপি-জামায়াত সরকারে থাকতে ভোটচুরির সব আয়োজন সম্পন্ন করেছিল; ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করেছিল। এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এসব কথা বলেন দলটির সভাপতি। আওয়ামী লীগ সরকারে থাকায় দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রীর বলেন, ক্ষমতাসীন দল দেশে গণতন্ত্র সুসংহত করেছে। বিএনপির শাসনামল ছিল সন্ত্রাস, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, মানি লন্ডারিং, খুন আর ভোটচুরির।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যতটুকু স্বচ্ছতা এসেছে, তা আওয়ামী লীগের আন্দোলনের ফসল। বিএনপি-জামায়াত সরকারে থাকতে ভোটচুরির সব আয়োজন সম্পন্ন করেছিল। ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করেছিল।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বিএনপির শাসনামলে তারা জঙ্গিবাদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছিল। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং তার দুই ছেলে তারেক জিয়া ও কোকো সবাই মানি লন্ডারিংয়ে জড়িত। আমরা কোকোর পাচার করা টাকা ফিরিয়ে এনেছি। দেশে এতিমদের জন্য টাকা এসেছে। খালেদা জিয়া নিজের অ্যাকাউন্টে রেখে আত্মসাৎ করেছেন।
‘এক-এগারোর সরকার এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে, যে মামলায় তার সাজা হয়েছে। তারেক জিয়া রাজনীতি করবে না মুচলেকা দিয়ে বিদেশে চলে গেছে। তিনিও আদালতের রায়ে দণ্ডিত। এদের হাতে দেশ কীভাবে নিরাপদ থাকবে?’
সভায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া সংক্রান্ত অভিযোগের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রিজার্ভ খরচ হয়েছে মানুষের কল্যাণে; জ্বালানি তেল, খাদ্যশস্য এবং করোনার টিকা কিনতে ব্যয় করা হয়েছে, তবে এখনও পাঁচ মাস চলার মতো রিজার্ভ রয়েছে।
আগামী মাসে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট কেটে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিএনএ/এ আর