বিশ্বডেস্ক: আন্তর্জাতিক বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তেলের দাম। চলতি সপ্তাহে ২০২৩ সালের সর্বোচ্চ স্তরে উঠেছে জ্বালানি পণ্যটির দর। এখন যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে ব্যারেলপ্রতি মূল্য আবার ১০০ ডলারে পৌঁছবে। কিছু বিশ্লেষক মনে করেন; এই বছরের শেষ নাগাদ ওই মাইলফলক স্পর্শ করবে তেল।
গত শুক্রবার সকালে লন্ডন এক্সচেঞ্জে আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ব্রেন্টের সরবরাহ মূল্য কমেছে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। প্রতি ব্যারেলের দাম স্থির হয়েছে ৯৩ ডলার ৪৬ সেন্টে।
একই কার্যদিবসে ফিউচার মার্কেটে যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দর সামান্য পরিবর্তন হয়েছে। ব্যারেলপ্রতি মূল্য নিষ্পত্তি হয়েছে ৯০ ডলার ০৯ সেন্টে।
গত বৃহস্পতিবার উভয় বেঞ্চমার্ক পৃথকভাবে চলতি বছরের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছিল। চলমান মাসের সূচনা থেকেই তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। বর্তমানে জ্বালানি পণ্যটির দাম টানা ৩ সপ্তাহ বাড়ার পথে আছে।
২০২৩ সালের শেষ পর্যন্ত তেল উত্তোলন কমিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বের শীর্ষ দুই উৎপাদনকারী সৌদি আরব ও রাশিয়া। তাদের নেতৃত্বাধীন ওপেক প্লাসভুক্ত সদস্য দেশগুলোও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে বিশ্ববাজারে সরবরাহ হ্রাসের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে জ্বালানি পণ্যটির দাম বাড়ছে। ব্যাংক অব আমেরিকার বিশ্লেষকরা পূর্বাভাস দিয়েছেন, শিগগিরই ব্যারেলে তেলের দাম উঠবে ১০০ ডলারে।
ফ্রান্সিস্কো ব্লান্চ নেতৃত্বাধীন গবেষকরা এক গবেষণা প্রবন্ধে বলেন, এশিয়ায় তেলের চাহিদা বাড়ছে। বিপরীতে ওপেক প্লাস উত্তোলন কমিয়ে যাচ্ছে। এখন আমরা মনে করি, ২০২৪ সালের আগেই ব্যারেলে ব্রেন্টের দর ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে ২০২২ সালের শুরুর দিকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দামে উর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছিল। কিন্তু অভ্যন্তরীণ সংকটের কারণে চীন, ডলার সাশ্রয়ের জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলো তেল কেনা কমিয়ে দেওয়ায় গত বছর জুন মাস থেকে অপরিশোধিত তেলের বাজারে মন্দাভাব শুরু হয়।
কয়েক মাস ধরে এই মন্দাভাব চলায় আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে তেল উত্তোলন ও রপ্তানিকারী দেশগুলো। তবে চলতি সপ্তাহে ফের বাড়তে শুরু করে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। সূত্র: সিএনবিসি।
বিএনএ,জিএন