বিএনএ ডেস্ক: নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে আইরিশদের ১৪ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের করা ১৪৩ রানের জবাবে ১২৯ রানে গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড।
বাংলাদেশের হয়ে ৫৩ বলে ৬৭ রান করেন নিগার সুলতানা। ৪ ওভার বল করে ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন সালমা খাতুন। বাছাই পর্বে গ্রুপ পর্বে আয়ারল্যান্ডই ছিল বড় প্রতিপক্ষ। তাদের হারিয়ে পরের ধাপের পথ অনেকটা সহজ লাল সবুজের প্রতিনিধিদের।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে আবুধাবিতে টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশের মেয়েরা। দুই ওপেনার মুরশিদা খাতুন ও শামীমা সুলতানা শুরুটা দারুণ করেন। পঞ্চম ওভারে দলের ২৮ রানে ফেরেন বাঁহাতি মুরশিদা। তিন চারে ১৬ করে যান তিনি।
এরপর দ্বিতীয় উইকেটে শামীমাকে নিয়ে দারুণ জুটি গড়েন নিগার সুলতানা। ৬২ রানের জুটি ভাঙে ১৫তম ওভারে। ৪০ বলে ৪৮ করা শামীমা লাউরা ডেনলির বলে এলবিডব্লিউতে কাটা পড়েন।
নিগার সুলতানা টিকে ছিলেন একদম শেষ অবধি। সুবহানা মুশতারি, রিতু মনিদের নিয়ে খেলে যান তিনি। ইনিংসের একদম শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ৫৩ বলে ১০ চার, ১ ছক্কায় ৬৭ করে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো তার পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংসে দেড়শোর কাছাকাছি পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে আয়ারল্যান্ড। দ্বিতীয় ওভারেই গাবি লুইসকে তুলে নেন সানজিদা আক্তার মেঘলা। পরের ওভারে ওরলা প্রেনডারগেস্টকে তুলে নেন সালমা।
এরপর এমি হান্টার ও অধিনায়ক ডেনলি মিলে ভাল জুটি গড়েন। তবে বাড়ছিল রানের চাপ। দশম ওভারে তাদের সেই জুটি ভাঙে রান আউটে। ৩২ বলে ৩৩ করে এমিকে রান আউট করেন সালমা। খানিক পর ডেনলিকেও তুলে নেন তিনি।
পথ হারানো আইরিশ ইনিংসে নতুন প্রাণ সঞ্চার করেছিলেন এইমেয়ার রিচার্ডসন। শেষ পর্যন্ত তিনি চেষ্টা চালালেও আরেক পাশে যোগ্য সঙ্গ দেয়ার কেউ ছিল না।
প্রথম দুই ওভারে ১২ রান দেয়া সালমা ১৮তম ওভারে আসেন নিজের শেষ ওভার বল করতে। ওই ওভারে প্রথম দুই বলে এক চারে ৬ রান দিলেও। পরের দুই বলে আইরিশদের হিসেব থেকে বের করে দেন তিনি। মারি ওয়াল্ড্রনকে বোল্ড করে দেয়ার পর আরলিন কেলি হয়ে যান রান আউট।
১৯তম ওভারে রিতু মনির বলে ফেরেন ২৬ বলে ৪০ রানের ঝড় তুলা রিচার্ডসন। শেষ ওভারে লেহ পলকে ছেঁটে ইনিংস মুড়ে দেন নাহিদা।
৫৩ বলে ৬৭ রান করে প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন নিগার সুলতানা। ১৯ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড।
বিএনএ/এ আর
