বিএনএ ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। এক্ষেত্রে আগের সব শর্তই বহাল থাকবে। বিদেশে যেতে পারবেন না বিএনপি নেত্রী। দেশে থেকেই তাকে চিকিৎসা নিতে হবে।
রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শর্ত সাপেক্ষে মুক্তির সময় বাড়ানোর জন্য একটি আবেদন করেছিলেন। আইন মন্ত্রণালয় সেটির ওপর মতামত দিয়েছে। তার ভিত্তিতে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ চতুর্থবারের মতো ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। বিএনপি নেত্রী বাড়িতে বসে চিকিৎসা নেবেন। বিদেশে যেতে পারবেন না। এর সঙ্গে আগে যেসব শর্ত ছিল, সেসব শর্ত বহাল থাকবে। স্থায়ী মুক্তির জন্য তাকে আদালতে যেতে হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে, খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ছে বলে জানিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা রয়েছে। এর মধ্যে গত এপ্রিলে করোনা ভাইরাসে আক্রাক্ত হন তিনি। ৫৪ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাও নেন খালেদা জিয়া। ২৪ সেপ্টেম্বর তার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এই অবস্থায় খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য মুক্তি চেয়ে চলতি মাসের শুরুর দিকে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন। পরে সেটি মতামতের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা হয় খালেদা জিয়ার। দীর্ঘ ২৫ মাস কারাভোগের পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের জন্য তার দণ্ড স্থগিত করা হয়। এরপর দুই দফা তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
বিএনএনিউজ/আরকেসি