বিএনএ বরিশাল: বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)’র বাসভবনে হামলা ঘটনায় দায়ের হওয়া দুই মামলাতেই সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। একটি মামলার বাদী ইউএনও নিজে, অপরটির বাদী পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে নগরীর কোতোয়ালী থানায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়। একটি মামলার বাদী হয়েছেন ইউএনও মুনিবুর রহমান নিজে। অপরটির বাদী পুলিশের এক এস আই শাহজালাল মল্লিক।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান, ইউএনও মামলাটি করেছেন তার বাসভবনে হামলার অভিযোগে, আর পুলিশের তরফ থেকে সরকারি কাজে বাধা প্রদান ও হত্যার উদ্দেশে আঘাত করে গুলিবর্ষণের অপরাধে মামলা করা হয়েছে। মামলা দুইটিতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৯৪ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলা দুইটিতে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ছাড়াও উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত, মান্না, আতিকুল্লাহ মুনিম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব হোসেন খান, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দাস, ২১নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ সাইয়েদ আহম্মেদ, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা অনিক সেরনিয়াবাত, রইজ আহম্মেদ মান্না । এদের মধ্যে ১৩ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে ফিরোজ, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি অলিউল্লাহ অলিও রয়েছেন। এছাড়া রাতে ঘটনাস্থল থেকে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বাবুকে আটক করা হয়, তাকেও এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও মুনিবুর রহমানের বাসভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের সঙ্গে পোস্টার অপসারণ নিয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মীদের তর্ক হয়। ঘটনার এক পর্যায়ে ইউএনও মুনিবুর রহমানের সঙ্গেও বাকবিতণ্ডা হয়। সে সময় আনসার সদস্যরা গুলি চালায় ।
এর জের ধরে, ইউএনওর বাসায় হামলা চালানো হয়। বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাদ সাদিক আবদুল্লাহ ও বরিশালের আওয়ামী লীগ এবং অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে সেখানে তুমুল হট্টগোল তৈরি হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ সেখানে লাঠিচার্জ করে প্রায় দুই ঘণ্টা পর নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।ঘটনার পর থেকে বরিশাল শহরজুড়ে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
বিএনএনিউজ/আরকেসি
