বিএনএ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগর ও নদীতে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে রূপালি ইলিশ। ভরা মৌসুমে ইলিশের দেখা না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিল জেলেরা। এখন ব্যস্ততায় তাদের সময় কাটছে । জালে রূপালি ইলিশের ঝাঁক জেলেদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে ।
জেলে পল্লী, মাছের আড়ৎ ও মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রগুলোয় রূপালি আলো ছড়াচ্ছে ইলিশ। জেলে, আড়তের শ্রমিক, ব্যবসায়ী সকলেই ইলিশ বেচাকেনায় ব্যস্ত। চট্টগ্রামের ফিশারিঘাটের এমন চিত্র বলে দিচ্ছে, এখন ইলিশের ভরা মৌসুম।
ইলিশের ভরা মৌসুমে বেশ কিছুদিন আবহাওয়া খারাপ থাকায় গভীর সমুদ্র ছাড়া ইলিশের দেখা পাননি কক্সবাজারের জেলেরা। তবে, আবহাওয়া ভাল থাকায় জোয়ারের সময় উপকূলীয় এলাকায় অগভীর সমুদ্রেও প্রচুর মাছ ধরা পড়ছে।
এই মৌসুমে নোয়াখালীর হাতিয়ায় প্রায় ১০ হাজার জেলে ইলিশ শিকারে নেমেছে। আগের থেকে অনেক বেশি মাছ ধরা পড়ছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সড়ক ও নৌপথে রাজধানীসহ সারাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। দেশ জুড়ে এবার বিপুল পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ায় রাজধানীর মাছের বাজারগুলো জমজমাট। নিলামের হাঁক-ডাকে মুখরিত ঢাকার মাছের আড়তগুলো।
এদিকে, মেঘনা ও তেতুলিয়া নদী থেকে ইলিশ নিয়ে শত শত নৌকা ও ট্রলার ভোলার প্রায় ১৩০টি ঘাটে ভিড়ছে। দায়-দেনা পরিশোধ করে লাভের দেখা পাওয়া যাবে বলে জেলে ও ব্যবসায়ীরা বেশ খুশি।
ডিম পাড়া ও জাটকা বড় হওয়ার মৌসুমে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় ইলিশের আকৃতি ও সংখ্যা বেড়েছে। অভয়ারণ্য ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে ইলিশের ঝাঁক।
মৎস্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এবছর রেকর্ড পরিমাণ ইলিশ উৎপাদন হয়েছে।পরিমানে বেশি হওয়ায় আগের অঞ্চল ছাড়াও নতুন নতুন অনেক জায়গায় ইলিশ স্থান করে নিয়েছে । আগের অভয়ারণ্য ছাড়াও বরিশালের হিজলা, নিঝুম দ্বীপ ইলিশের নতুন অভয়ারণ্য। নদী ও সাগরের মোহনায় ক্ষতিকর কারেন্ট জালসহ অন্যান্য অবৈধ জাল উচ্ছেদ করা সম্ভব হলে দেশের প্রায় সকল নদীতে ইলিশ ছড়িয়ে পড়বে বলে মনে করছেন তারা।
বিএনএনিউজ/আরকেসি