বিএনএ, কক্সবাজার–কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীতে জেলের ছদ্মবেশে মাদক পাচারের সময় ১ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ জুবায়ের ও নূরুল আমিন নামের দুই মায়ানমার নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি। বুধবার (১৮ জুন) বেলা ১১ টার সময় নাফ নদী থেকে এসব ইয়াবাসহ তাদের আটক করা হয়েছে ।
আটকরা হলো, মায়ানমারের মংডু জেলার ডেইলপাড়া গ্রামের মোঃ ইলিয়াসের ছেলে মোঃ জুবায়ের (২০) এবং মৃত ইসলামের ছেলে নুরুল আমিন (২২)।
বুধবার রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমান৷
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির কাছে তথ্য আসে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ নাজিরপাড়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ সীমান্তবর্তী নাফ নদী দিয়ে কতিপয় মায়ানমার নাগরিক মাছ ধরার ছদ্মবেশে ইয়াবার একটি চালান জেলের ছদ্মবেশে থাকা কতিপয় বাংলাদেশী নাগরিকদের কাছে হস্তান্তর করবে। এ প্রেক্ষিতে, পরিস্থিতির বিবেচনায় টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমান তাৎক্ষণিকভাবে নাফ নদী ও তীরবর্তী বেশকিছু কৌশলগত স্থানে দ্রুত বিশেষ টহল মোতায়েন করেন।
আনুমানিক ১১ টার সময় নদীতে একটি নৌকার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে বিজিবি’র নৌ টহলদলগুলো তড়িৎ গতিতে তাদের পিছু ধাওয়া করে। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা দ্রুত পালানোর চেষ্টা করলেও নাফ নদীর জল সীমান্তের শূন্যরেখার আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে বিজিবি আভিযানিকদল মায়ানমারের দুইজন নাগরিকসহ নৌকাটি আটক করে। পরবর্তীতে বিজিবি আভিযানিকদল নৌকাটিতে তল্লাশি চালিয়ে পাটাতনের নিচে জালের ভেতর বিশেষ কায়দায় লুকানো এবং মোড়কজাত অবস্থায় ১ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানায়, তারা ইয়াবার চালানটি মায়ানমার থেকে এনে নদীতে মাছ ধরার অজুহাতে অপেক্ষমাণ বাংলাদেশি সহযোগীদের কাছে হস্তান্তরের পরিকল্পনা করেছিল।
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমান জানান, আটককৃত মায়ানমার নাগরিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং এর সাথে জড়িত বাংলাদেশীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বিএনএ/এইচএম ফরিদুল আলম শাহীন,ওজি/শাম্মী