বিএনএ, চবি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে কর্মক্ষেত্রে সফল হতে হবে উল্লেখ করে বলেছেন, পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয়। আপনাদের আগ্রহ, শখ এবং স্বপ্নকে বাস্তবায়নের সর্বোচ্চ সুযোগ রয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্যারিয়ার গড়ার প্রস্তুতি নিতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা চাইব, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর যেসকল আয়োজন হয়, ক্যারিয়ার ক্লাবও সেখানে থাকবে। শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার সচেতন করবে। তাছাড়া, যে ক্যারিয়ারেও যাও না কেন প্রত্যেককে মানুষের মতো মানুষ হতে হবে।
সোমবার (১৯ জুন) বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যারিয়ার ক্লাব (সিইউসিসি) এর ‘বার্ষিক সাধারণ সভা ও নবীনবরণ ২০২৩’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ড. শিরীণ আখতার আরও বলেন, আমার যে সাতাশ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি যুদ্ধের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেছে, তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে আমি ভাবি। আমি ভাবি, তারা এখান থেকে বের হয়ে কোথায় যাবে, কী করবে। আমার সে ভাবনাকে মুক্তি দিতে তাদের নিজেদেরকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদার, চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন্স) সুদীপ্ত সরকার পিপিএম।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সি’র (বিএনএ) সম্পাদক ও পোর্টল্যান্ড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান মজুমদার।
চবি উপ-উপাচার্য
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা প্রথম বর্ষে পড়েন, তারা যেন ক্যারিয়ার ক্লাবের সাথে যুক্ত হয়। ক্যারিয়ার ক্লাবের প্রতি তিন অনুরোধ, নতুনদের জন্য ইন্টার্নিশিপের আয়োজন করবেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে নতুনদের পরিচিত করাবেন এবং ভালো ভালো ব্যক্তিদের এনে মতবিনিময় করবেন।
বিএনএ সম্পাদক
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সি’র (বিএনএ) সম্পাদক ও পোর্টল্যান্ড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান মজুমদার বলেন, সিঙ্গাপুর একসময় অতি দরিদ্র একটি দেশ ছিল। সেখানে কোন খনিজ সম্পদ কৃষি সম্পদ কিছুই ছিল না। কিন্তু তারা মানবসম্পদকে এমনভাবে কাজে লাগিয়েছে যে, আজ তারা পুরো বিশ্বের ট্রেড-সেন্টারে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশে সবকিছু আছে, শুধু মানবসম্পদটা কাজে লাগানোর পালা।
তিনি আরও বলেন, আমরা এখন সমুদ্রও জয় করেছি। আমাদের নিজেদের বিস্তৃত করার সুযোগ আরও বেড়ে গেছে। আমাদের দেশে ১০০টি ইকোনমিক জোন হচ্ছে। সেজন্য আমাদের তৈরি হতে হবে। কারিগরি শিক্ষা দিতে হবে সকলকে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ, সবাইকে সুশিক্ষিত হতে হবে।সেই সাথে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ এর জন্য উপযুক্ত হতে হবে।
তাওহীদা মাহমুদ আরিয়ান ও অর্পন চৌধুরীর সঞ্চালনায় শুরু হয় এ অনুষ্ঠান। এতে সভাপতিত্ব করেন চবি ক্যারিয়ার ক্লাবের সভাপতি মো. মোস্তাক আল মুজাহিদ জিনিয়াস এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি ক্যারিয়ার ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাফায়েত হোসেন তুষার।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের দুই শিক্ষার্থী এস. এম. শাহরিয়ার আলম ও ইমরান পাভেলের হাত ধরে যাত্রা শুরু করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাব (সিইউসিসি)।
প্রতিষ্ঠাকাল থেকে চবি শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্যারিয়ার বিষয়ক সচেতনতা, বিবিধ কর্মশালা, প্রশিক্ষণ কর্মসূচিসহ বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি।
বিএনএ/ সুমন বাইজিদ, ওজি/ এইচ এইচ