বিএনএ ডেস্ক: ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যমতের অবস্থা নেই। এমন কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
রোববার (১৯ জুন) নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে ১৩টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইভিএম বিষয়ে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। সিইসি বলেন, ইভিএম নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথা-বার্তা হচ্ছে গণমাধ্যমে। ইভিএম নিয়ে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি।
রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কিছুদিন আগেও ইভিএমে নির্বাচন করা হয়েছে। রাজনৈতিক মহল ও গণমাধ্যমে সংবাদের সূত্রে কমিশন জানতে পেরেছে ইভিএম নিয়ে ঐকমতের অবস্থা নেই। সিইসি বলেন, যেহেতু নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে, সেহেতু কমিশনকে ধারণা নিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত স্বাধীন হবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন কমিশন কারো ওপর কোনো মতামত চাপিয়ে দিতে পারে না, চাপিয়ে দেবেও না। সে ধরনের কোনো ইচ্ছে কমিশনের নেই। বলেন, নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্য হলো, ইভিএম সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলোকে সঠিক ধারণা দেয়া। প্রশ্ন থাকলে সেগুলো দলের প্রতিনিধিরা উপস্থাপন করতে পারবেন। কমিশনের যারা ইভিএম সম্পর্কে বোঝেন, তারা সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবেন।
নির্বাচন কমিশন নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে ইভিএম যাচাইয়ের সুযোগ দিচ্ছে। এজন্য তিন ধাপে ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। প্রথম ধাপে ১৩টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এ ছাড়া, ইতোমধ্যে নিবন্ধিত বাকি দলগুলোর সাধারণ সম্পাদককে চিঠি দিয়েছে কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলো চার সদস্যের কারিগরি টিম/প্রতিনিধি পাঠাতে পারবে। দ্বিতীয় ধাপে ২১ ও শেষ ধাপে ২৮ জুন রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানাবে ইসি।
নির্বাচন কমিশনের হাতে বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার ইভিএম রয়েছে, যা দিয়ে সর্বোচ্চ ১০০ আসনে ভোট করা যাবে। ৩০০ আসনে এ মেশিন ব্যবহার করতে হলে আরও তিন লাখের মতো মেশিনের প্রয়োজন।
রোববার আমন্ত্রণ পাওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আছে, জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি-জেপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, গণফোরাম, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন এনডিএম ও বাংলাদেশ কংগ্রেস।
বিএনএ/ এ আর
