বিএনএ, ঢাকা: তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশন থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত আন্ডারপাস তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১৯ মে) সকালে রাজধানীর আশকোনার হজ অফিসে ‘হজ কার্যক্রম-২০২৩’ উদ্বোধন এবং হজ যাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই আন্ডারপাস খুব আধুনিক হবে। এখানে মালপত্র ঘাড়ে করে টানতে হবে না। সেইভাবে ব্যবস্থা আমরা করে দেবো। সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্ল্যান করা হয়েছে। ডিজাইন করা হয়েছে। এটা হয়ে গেলে আরও সহজ হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা হজ ক্যাম্পের উন্নতি করেছি। আরেকটা কাজ করে দিচ্ছি হজযাত্রীদের সুবিধার্থে তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশন থেকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর পর্যন্ত দ্রুতই আন্ডারপাস তৈরি করা হবে। এবং এই আন্ডরপাসটা কিন্তু খুব আধুনিক হবে। এমনি এখানে যাত্রীদের মালপত্র ঘাড়ে করে টানতে হবে না। সেই ধরনের ব্যবস্থা আমরা তৈরি করে দেব। সেখানে র্যাম্পের ব্যবস্থা থাকবে, মাল টানার ব্যবস্থা থাকবে, সেখানে সব ধরনের ব্যবস্থা থাকবে। আমি নিজে প্ল্যানটা দেখে দিয়েছি। আপনাদের জন্য সে ব্যবস্থাটা দ্রুতই আমরা করে দেব।
সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক কালচারাল সেন্টার সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে ২০০টি মসজিদ করা হয়ে গেছে। বাকিগুলোও ধীরে ধীরে আমরা করে দিচ্ছি। সেখানেও ইমাম প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে, হজযাত্রীরা হজ সম্পর্কে সব ধরনের তথ্য, ট্রেনিং এবং করণীয় সম্পর্কে জানতে পারবে, লাইব্রেরিসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা সেখানে থাকবে।
প্রসঙ্গত, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় আধুনিক আন্ডারপাস নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। যাত্রী ও পথচারীরা যাতে নিরাপদে বাস, বিমানবন্দর ও রেলস্টেশনে পৌঁছাতে পারেন।
সড়ক ও জনপথ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ১০৭০ মিটার দৈর্ঘ্যের প্রস্তাবিত আন্ডারপাসটিতে ৯টি প্রবেশ ও বহির্গমন পথ থাকবে। এগুলো হলো- হজ ক্যাম্প, আশকোনা, বিমান বন্দর রেলওয়ে (বিআরটি) স্টেশন, বিমানবন্দর টার্মিনাল-১, ২ এবং ৩, বিমান বন্দর উত্তর গেট, দক্ষিণ গেট এবং এমআরটি স্টেশন।
আধুনিক এই আন্ডারপাস নির্মাণে ব্যয় হবে ১ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা। সরকারি তহবিল থেকে এই অর্থের যোগান দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরেই শুরু হবে প্রকল্পের নির্মাণকাজ। আগামী দু বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে প্রস্তাবনায়।
বিএনএ/এমএফ