বিএনএ,বিশ্বডেস্ক: জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে উদ্ধারে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে সোমালি পুলিশ ও আন্তর্জাতিক বাহিনী। গত সপ্তাহে জাহাজটি ছিনতাই করেছিল সোমালি জলদস্যুরা। সোমালিয়ার পুন্টল্যান্ড অঞ্চলের পুলিশ বাহিনী এ কথা জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
রয়টার্স বলছে, সোমালি পুলিশ এবং আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী জলদস্যুদের দ্বারা হাইজ্যাক করা বাণিজ্যিক জাহাজে (এমভি আবদুল্লাহ) অভিযান পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জলদস্যুদের হাতে থাকা পণ্যবাহী জাহাজ রুয়েন ভারতীয় নৌবাহিনী উদ্ধার করার দুদিন পর এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
পুন্টল্যান্ড পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, পুন্টল্যান্ড সোমালিয়ার একটি আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। সেই অঞ্চলে তারা উচ্চ সতর্কতায় রয়েছেন এবং আব্দুল্লাহকে আটক করে রাখা জলদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ নিতেও তারা প্রস্তুত। পুন্টল্যান্ড সিকিউরিটি ফোর্স হলো সোমালিয়ার স্বায়ত্তশাসিত পুন্টল্যান্ড রাজ্যের নিরাপত্তা বাহিনী। ২০০২ সালে এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বাহিনীটি গঠন হয়েছিল। এ বাহিনী সোমালিয়ার ফেডারেল সরকার এবং পুন্টল্যান্ড সরকার থেকে স্বাধীন।
তবে এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’য় অপারেশন পরিচালনার জন্য বাংলাদেশের অনুমতি চাইলেও নাবিক ও ক্রুদের প্রাণনাশের আশঙ্কায় বাংলাদেশ সরকার সেই অনুমতি দেয়নি।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট প্রধান অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. খুরশেদ আলম বলেছিলেন, আমরা নেগোশিয়েশন করছি, কীভাবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে নাবিক ও ক্রুদের কোনো ক্ষতি ছাড়াই জাহাজটি উদ্ধার করা যায়।
এছাড়া ছিনতাই হওয়া জাহাজ ও জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে ‘মধ্যস্থতাকারী’ নিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল জাহাজের মালিক কবির গ্রুপ।
উলে্লখ্য, ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। সে সময় জাহাজটি সোমালিয়া উপকূল থেকে ৫৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছিল। দস্যুদের কাছে জিম্মি হয় ২৩ বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু। জাহাজটি গত তিনদিন ধরে সোমালিয়ার গোদবজিরান উপকূলের ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙ্গর করা রয়েছে।
বিএনএনিউজ/রেহানা, ওজি