বিএনএ ডেস্ক: বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি….ইলাইহি রাজিউন)। ৯২ বছর বয়সী সাবেক এই রাষ্ট্রপতি কয়েক বছর ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছেন।
শনিবার (১৯ মার্চ) সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন।
৯০ আন্দোলনে স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বে আসেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ। পরবর্তীতে তার নেতৃত্বাধীন নির্দলীয় সরকারের অধীনে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। নির্বাচনের পর দেশের সংবিধানে পরিবর্তন এনে তিনি আবার প্রধান বিচারপতির পদে অধিষ্ঠিত হন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন সাহাবুদ্দীন আহমদ। ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি সেই দায়িত্ব পালন করেন। এরপর গুলশানের বাসভবনে অনেকটা নিভৃত জীবনযাপন করছিলেন সাহাবুদ্দীন আহমদ।
উল্লেখ্য, সাহাবুদ্দীন আহমদ তার কর্মজীবনে প্রথমে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। ম্যাজিস্ট্রেট, মহকুমা প্রশাসক এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬০ সালের জুন মাসে তাকে বিচার বিভাগে বদলি করা হয়। তিনি ঢাকা ও বরিশালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি ঢাকা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার নিযুক্ত হন। ১৯৭২ সালের ২০ জানুয়ারি তাকে বাংলাদেশ হাইকোর্টের বিচারক পদে উন্নীত করা হয়।
১৯৮০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সাহাবুদ্দীন আহমদকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ করা হয়। বিচারপতি হিসেবে বাংলাদেশ সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীর ওপর তার দেওয়া রায় দেশের শাসনতান্ত্রিক বিকাশের ক্ষেত্রে এক অনন্য ঘটনা হিসেবে স্বীকৃত।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ