বিএনএ, ঢাকা: কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রধানমন্ত্রীর ২১বার পুষ্পস্তবক অর্পণের ২১টি দুর্লভ ছবি নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার-প্রধান হিসেবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে ২১ বার পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন। তার সেসব দুর্লভ ছবি নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় একটি প্রর্দশনীর আয়োজন করা হবে।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে প্রেস ব্রিফিংয়ে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান উপাচার্য।
সংবাদ সম্মেলন যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সব সদস্য, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশন, রাজনৈতিক দল, সংগঠন, গণমাধ্যমকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থা ও সর্বসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, রাষ্ট্রাচার অনুযায়ী একুশের প্রথম প্রহরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের উদ্দেশে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদীমূল প্রস্তুত করার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে এবং যথাসময়েই তা সম্পন্ন হবে। এবছর প্রতিটি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এবং ব্যক্তি পর্যায়ে শহীদ মিনারের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারবে।
উপাচার্য বলেন, রাত ১২টা ১ মিনিটে একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদীতে প্রথম পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রীবর্গ, ডেপুটি স্পিকার ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা। এরপর পর্যায়ক্রমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন তিন বাহিনীর প্রধানরা, ভাষা সৈনিকরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সিনেট ও সিন্ডিকেটের সদস্যরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বিভিন্ন অনুষদের ডিনরা ও হলের প্রাধ্যক্ষরা। এরপর সর্বস্তরের জনসাধারণের শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণের জন্য শহীদ মিনার উন্মুক্ত থাকবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল আরও বলেন, সর্বস্তরের জনসাধারণ পলাশী মোড় হয়ে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ও জগন্নাথ হলের সামনে দিয়ে শহীদ মিনারে যাবেন এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণের পর সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠের সামনের রাস্তা দিয়ে দোয়েল চত্বর ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রাস্তা দিয়ে চাঁনখার পুল হয়ে শুধুমাত্র প্রস্থান করা যাবে। কিন্তু ওই পথে শহীদ মিনারের দিকে আসা যাবে না। শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে রুটম্যাপ অনুসরণ করতে হবে। প্রবেশপথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ বিএনসিসি, রেড ক্রিসেন্ট, রোভার স্কাউটস, রেঞ্জার ও স্বেচ্ছা সেবকরা বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। তাদেরকে যথাযথ সহযোগিতা করার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, অমর একুশে উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সমন্বয়কারী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, যুগ্ম-সমন্বয়কারী ও শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আব্দুস ছামাদ, যুগ্ম-সমন্বয়কারী ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বিএনএ/এমএফ/এইচমুন্নী