বিএনএ, ঢাকা : শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালায় বেশকিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতে সৃষ্টি হয়েছে বেশ কিছু নতুন পদও। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে আগের নীতিমালা সহজ করেই এটি করা হয়েছে।
নতুন এই নীতিমালায় পাসের হারের শর্তে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। তুলে দেওয়া হয়েছে স্বীকৃতির শর্তটিও। তবে আবার বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। নীতিমালা অনুযায়ী, আগে মফস্বলে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে ১৫০ শিক্ষার্থী থাকলেই হতো। এখন সেই শিক্ষার্থী সংখ্যা হতে হবে কমপক্ষে ২৪০ জন।
নীতিমালায় নতুন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে আগের চারটি শর্ত থেকে একাডেমিক স্বীকৃতির ব্যাপারটি বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে উচ্চ মাধ্যমিকে সিটি করপোরেশন এলাকায় পাসের হার কমপক্ষে ৬৫ শতাংশ, পৌর এলাকায় ৫৫ শতাংশ এবং মফস্বলে ৫০ শতাংশ রাখা হয়েছে।
মাধ্যমিকে সিটি করপোরেশন এলাকার স্কুলে পাসের হার ৬৫ শতাংশ, পৌর এলাকায় ৫৫ এবং মফস্বলে ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। আর নিম্ন মাধ্যমিকে পাসের হার সিটি করপোরেশন এলাকায় ৭০ শতাংশ, পৌর এলাকায় ৬০ ও মফস্বলে ৫৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলের ডিগ্রি কলেজে পাসের হার ৭০ থেকে ৪৫ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে।
সংশোধিত নীতিমালায়, শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিকে শহর এলাকায় বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে পৃথকভাবে ৪৫ জন এবং মফস্বলে পৃথকভাবে ৪০ জন করে শিক্ষার্থী থাকতে হবে। মাধ্যমিকে শহরাঞ্চলে প্রতি শ্রেণিতে ৪০ জন করে শিক্ষার্থী থাকতে হবে ও কমপক্ষে ৩৫ জনকে পরীক্ষা দিতে হবে। মফস্বলে ৩৫ জন করে শিক্ষার্থী থাকার ও ৩০ জনকে পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশীদ আমিন বলেন, পুরনো নীতিমালাকে সংশোধন করে আরও যুগোপযোগী করা হয়েছে। চূড়ান্ত খসড়া শিক্ষামন্ত্রীর বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে। তার অনুমোদনের পর তা জারি করা হবে।
বিএনএনিউজ/জেবি