বিএনএ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া: মাহফিল থেকে ফেরার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় দুর্বৃত্তের গুলিতে যুবক নিহতের পর গুলিবিদ্ধ চেয়ারম্যান প্রার্থী এরশাদুল হকও (৩০) মারা গেছেন। শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে রাত ১০টার দিকে উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের নাটঘর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
নিহত এরশাদুল হক উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের ছেলে এবং আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। নিহত বাদল নাটঘর গ্রামের সন্তোষ সরকারের ছেলে।
এ বিষয়ে নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম সাংবাদিকদের বলেন, কুড়িঘর বাজারের পাশে ওয়াজ মাহফিলে গিয়েছিল এরশাদ ও বাদলসহ কয়েকজন। সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে তারা বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে দুর্বৃত্তরা এরশাদ ও বাদলকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই বাদল মারা যায়। গুরুতর আহত এরশাদকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনিও মারা যান।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার ওসি আমিনুর রশিদ জানান, বাদল সরকারের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এরপর ঢাকায় নেয়ার পথে এরশাদও মারা গেছেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আটক করতে চেষ্টা চলছে। যে কোনো বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ধরার কার্যক্রম চলছে।
বিএনএনিউজ২৪/এমএইচ