বিএনএ ডেস্ক : রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় শিশুসহ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।সোমবার (১৮ নভেম্বর) এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ।নিহতরা হলেনগৃহিণী রিমা আক্তার লিপি (২৮) ও স্কুলছাত্রী মরিয়ম আক্তার (৮)। উদ্ধারকৃত নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। রোববার রাতে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ।
মৃত রিমার বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার হিরাপুর গ্রামের লিয়াকত আলী মেয়ে।স্বামী মামুনসহ দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে কামরাঙ্গীরচর পশ্চিম রসুলপুর চান মসজিদের পাশে ৩ নম্বর গলিতে আব্দুর রবের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
কামরাঙ্গীরচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর আলম সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, খবর পেয়ে রোববার রাতে পশ্চিম রসুলপুরের ওই বাড়ির একটি বাসা থেকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়।পারিবারিক কলহ, আর্থিক অভাব-অনটনের কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে উল্লেখ করা হয়।
মৃত রিমার মামা আমিনুর রহমান জানান, রিমার স্বামী মামুন বেকার। রসুলপুরের পঞ্চম তলা বাড়িটির ছাদে ছোট একটি রুমে ভাড়া থাকতেন। আর্থিক অভাবে ছিল রিমার পরিবার। আত্মীয়-স্বজনরা বিভিন্ন সময় তাদের সাহায্য-সহযোগিতা করতেন। ঘটনার সময় তার স্বামী বাসার বাইরে ছিলেন।
অপরদিকে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নওমালা গ্রামের মাসুদ খান ও লিপি বেগম দম্পতির মেয়ে মরিয়ম। পরিবারের সঙ্গে সবুজবাগে পশ্চিম রাজারবাগ বাগপাড়া রওশন মঞ্জিল গলিতে একটি বাসায় থাকতো।
শিশুটির চাচা মোশারফ খান জানান, স্থানীয় একটি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মরিয়ম। তার বাবা রাজমিস্ত্রি ও মা গৃহিণী। দুই বোনের মধ্যে সে ছিল বড়। রোববার স্কুল থেকে বাসায় ফিরলে তার মা দ্রুত গোসল করে আসতে বলে। তখন সে বাথরুমে ঢুকে। আধা ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সে আর বের হয় না। পরে সন্দেহ হলে তারা ডাকাডাকি শুরু করেন। এতে কাজ না হলে স্থানীয় রাজমিস্ত্রি এনে দরজা ভেঙে দেখেন কাপড় ঝুলানোর হ্যাঙ্গারের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচানো গলায় ঝুলে আছে মরিয়ম। পরে তাকে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সন্ধ্যায় মুগদা হাসপাতাল থেকে সবুজবাগ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল্লাহ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সুরতহালে তিনি উল্লেখ করেন, শিশুটির গলায় অর্ধচন্দ্রাকার দাগ রয়েছে। বাথরুমের হ্যাঙ্গারের সঙ্গে ওড়না বেঁধে দোল খেলার সময় একপাশের বাঁধ ছুটে গলায় ফাঁস লেগে মারা গিয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক তদন্তে উল্লেখ করেন তিনি।
বিএনএ/ আজিজুল, ওজি