বিএনএ, সাভার: ধামরাইয়ে মামলাধীন একটি জমি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতের স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশের অর্ডার শীট দেখে বাদীর পরিবারের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায় বিবাদীরা। এসময় হামলার শিকার হয়ে ৪ জনগুরুতর আহত অবস্থায় সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে থানায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন কাওয়ালিপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক এসআই শেখ কায়কোবাদ। এরআগে, বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার আমতা ইউনিয়নের পশ্চিম নান্দেশ্বরী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- আমছের আলীর ছেলে সোহরাব আলী (৪৭) ও মোনছের আলী (৩৫), সোহরাব আলীর স্ত্রী হুসেন আরা বেগম, মোনছের আলীর স্ত্রী সুমা বেগম। উভয় উপজেলার আমতা ইউনিয়নের পশ্চিম নান্দেশ্বরী গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযুক্তরা হলো- মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল খালেক, অলিউল্লাহ, মজিদ ও মজিদের ছেলে রাসেল মাহমুদ (সেহাল)। প্রত্যেকে একই এলাকার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী সুমা বেগম বলেন- আমরা নোটিশ দিতে গিয়েছিলাম। তারা নোটিশ দেখে বলে এটা দিয়ে হবে না, আমরা বাড়ির কাজ করবই। তখন কেন হবে না জিঙ্গাসা করলে একটা পাটকেল (ইট) নিয়ে এসে আমার জা (ভাশুর পত্নী) এর মাথায় বাড়ি দেয়। তারপর আমাদের রড শাবল দিয়ে বাইড়াতে থাকে।
স্থানীয় ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধা মহিলা জানান, সোহরাব কাগজ দেখাইতে আসছে। তখন সাহেল কাগজ পড়তেছে। এসময় সোহরাবের বউ সন্তান স্কুলে দিতে যাইতেছে। সোহরাবের বউকে দেখে বলে মহিলা আসছে কেন, সোহরাবের বউ আসছে কেন। তখন খালেক ইট নিক্ষেপ করলে সোহারাবের বউয়ের মাথায় লাগে। আমার শরীরেও লাগছে। তারপর সাহেল, খালেকরা রড শাবল দিয়া মারধর করে। আমি মারধর দেখে ভয়ে চিৎকার করে চলে আসছি। তারপরে এলাকার লোকজন এসে ওদের হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মজিদের ছেলে রাসেল মাহমুদ (সেহাল) জানায়, ওরা আমাদের বাড়িতে এসে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। ভুয়া একটা কাগজ নিয়ে আসছে। আমরা আগে কিছু বলিনি। ওরাই আগে আমাদের মারতে আসে। তখন নিরুপায় হয়ে আমরাও প্রতিঘাত করি।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিএনএ/ইমরান, এমএফ