বিএনএ ডেস্ক: ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিখোঁজ এক চিকিৎসককে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তারের পর তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট-সিটিটিসি।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সিটিটিসির অতিরিক্ত উপকমিশনার আহমেদুল ইসলাম জানান, যাত্রাবাড়ী থেকে ডা. মো. জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বলেন, জাকির নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের ‘সক্রিয় সদস্য’।
মো. জাকির হোসেন মানিকগঞ্জ শহরের বনগ্রাম আবাসিক এলাকার ৪৫/১ বাড়ির বাসিন্দা মো. সামসুল আলম ও জেসমিন আক্তার দম্পতির ছেলে। তিনি বিবাহিত এবং এক সন্তানের বাবা।
৩৮তম বিসিএস-এর এই কর্মকর্তা ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর ভাঙ্গার তুজারপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সহকারী সার্জন হিসেবে যোগ দেন।
কিন্তু তুজারপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোনো স্থাপনা না থাকায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। সেই থেকে গত তিন বছর ধরে তিনি এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার সহকর্মী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ৮ নভেম্বর হাসপাতালে কাজ শেষ করে সহকর্মী ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে খুদেবার্তা পাঠানোর পর ডা. জাকির হোসেনের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর থেকেই তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও তার শ্বশুর গত বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) ভাঙ্গা থানায় দুইটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
জিডির বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ৮ নভেম্বর দুপুর ২টা পর্যন্ত জাকির হোসেন ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগের দায়িত্ব শেষ করে হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
৯ নভেম্বর রাত ১২টা ৩ মিনিটে জাকির হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে তার স্ত্রীর কলির মোবাইলে খুদেবার্তায় জানানো হয়, বিদ্যুৎ নেই, তার (জাকির হোসেন) মোবাইল ফোন যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
একইদিন ভোর ৫টা ৫৪ মিনিটে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার মোবাইল ফোনে জাকির হোসেনের ফোন থেকে খুদেবার্তায় জানানো হয়-শাশুড়ি অসুস্থ; জরুরি ঢাকায় যেতে হবে। আগামীকাল (১০ নভেম্বর) ফিরতে একটু দেরি হবে।
বিএনএ/এ আর