বিএনএ, বিশ্বডেস্ক : গাজা শহরের একটি হাসপাতালে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে। আল-আহলি নামে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়াদের পাশাপাশি হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক ইসরায়েলি হামলা থেকে রক্ষা পেতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, হাসপাতালে বিস্ফোরণে অন্তত ৫০০ জন নিহত হয়েছেন।
গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকার হাসপাতালের উপর এ হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
এক বিবৃতিতে গাজার সরকার বলেছে, হাসপাতালটিতে কয়েকশ আহত ও অসুস্থ মানুষ ছিলেন। এছাড়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষও এখানে ছিলেন।
গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি বিমানবাহিনীর নির্বিচার বিমান হামলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল হামাস। এরমধ্যেই হাসপাতালে চালানো হলো ভয়াবহ হামলা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ওই হাসপাতালটির একটি হলরুমে কয়েকশ বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। মূলত বিমান হামলা থেকেই হাসপাতালে গিয়েছিলেন তারা। তবে সেখানেও চালানো হয়েছে নৃশংসতা।
ভয়াবহ এই হামলার দায় এখনো স্বীকার করেনি ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। তারা বলেছে, হামলার বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, হামলার পর সেখানে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আল-জাজিরার টিভি চ্যানেলে প্রকাশিত ফুটেছে দেখা গেছে, হাসপাতালের প্রায় সব জায়গায় মানুষের রক্ত পড়ে আছে। যেগুলো তখনো শুকায়নি।
মিশর গাজার আল-আহলি আরব হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা করেছে এবং একে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের (আইএইচএল) “বিপজ্জনক লঙ্ঘন” বলে অভিহিত করেছে।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে এই ইচ্ছাকৃত আক্রমণ আইএইচএল এবং মৌলিক মানবিক মূল্যবোধের একটি বিপজ্জনক লঙ্ঘন।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।