বিএনএ ঢাকা: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)’র মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ অধিশাখার উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাসের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে তাদেরকে এই পদোন্নতি দেয়া হয়।
২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ডিএমপির ৩৪তম কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেন মোহা. শফিকুল ইসলাম। অষ্টম ব্যাচের কর্মকর্তা তিনি। ১৯৮৯ সালের ২০ ডিসেম্বর এএসপি হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন মোহা. শফিকুল ইসলাম। তার গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায়। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। কর্মজীবনে নারায়ণগঞ্জ, পটুয়াখালী, সুনামগঞ্জ ও কুমিল্লা জেলায় পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়াও, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)’র কমিশনার, চট্টগ্রামের রেঞ্জ ডিআইজি ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এইচআরএম শাখার প্রধান ও সিআইডি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মোহা. শফিকুল ইসলাম।
এদিকে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ১৯৬৪ সালের ১২ জানুয়ারি সুনামগঞ্জের শাল্লা থানাধীন শ্রীহাইল গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকসহ (সম্মান) স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। বিসিএস ১৯৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদে ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
তিনি র্যাব ফোর্সেসের মহাপরিচালক হিসেবে যোগদানের আগে সফলভাবে সিআইডি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ পুলিশে অসামান্য অবদান ও অনন্য সেবাদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম) ও প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (পিপিএম) পদকে ভূষিত হন।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, লাইবেরিয়া ও দারফুরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অসামান্য অবদান রেখেছেন। দেশ-বিদেশের বেশ কিছু মর্যাদাপূর্ণ পেশাগত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি।
বিএনএনিউজ/আরকেসি