বিশ্ব ডেস্ক : জাপানে দেশটির শতবর্ষী নাগরিকের সংখ্যা ৯৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।দেশটিতে ১০০ বা তার বেশি বয়সি মানুষ রয়েছেন ৯৫ হাজার ১১৯ জন, যা গত বছরের চেয়ে দুই হাজার ৯৮০ জন বেশি।
জাপানের স্বরাষ্ট্র ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়ে বলেছে, এর মধ্যে মোট ৮৩ হাজার ৯৫৮ জন বা ৮৮ শতাংশেরও বেশি নারী। পুরুষ শতবর্ষের সংখ্যা ১১ হাজার ১৬১ জন।
চলতি বছরের গণনায় জাপানের সবচেয়ে বয়স্ক নারী ছিলেন হিয়োগো জেলার আশিইয়া শহরের ১১৬ বছর বয়সি ইতোওকা তোমিকো। সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ ছিলেন শিযুওকা জেলার ইওয়াতা শহরের ১১০ বছর বয়সি মিযুনো কিইয়োতাকা।
খবরে বলা হয়েছে, বয়স্ক জনগোষ্ঠী দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৯.৩ শতাংশ, যা এক লাখের বেশি জনসংখ্যার যে কোনো দেশ বা অঞ্চলের মধ্যে সর্বোচ্চ। ৬৫ বা তার বেশি বয়সি মানুষের মধ্যে প্রায় ২০.৫৩ মিলিয়ন নারী, এবং ১৫.৭২ মিলিয়ন পুরুষ।
জনসংখ্যাগত সংকটে এখন জাপান। একদিকে বুড়ো মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে, অন্যদিকে হ্রাস পাচ্ছে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা। এ ছাড়া বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে স্বাস্থ্যসেবা ও কল্যাণমূলক ব্যয়ও।
টোকিওর থিংক ট্যাংক রিক্রুট ওয়ার্কস ইনস্টিটিউটের গত বছর প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, জনসংখ্যার হ্রাসের কারণে ২০৪০ সালের মধ্যে জাপানে ১ কোটিরও বেশি শ্রমিকের ঘাটতি হতে পারে।
এদিকে জাপানের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি, ১১২ বছর বয়সী গিসাবুরো সোনোবে, চিবা প্রিফেকচারের তাতেয়ামা শহরে মারা গেছেন বলে বৃহস্পতিবার শহর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তার মৃত্যুর তারিখ এবং কারণ প্রকাশ করা হয়নি।
সোনোবে, যিনি নভেম্বর ১৯১১ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, নভেম্বর ২০২২ সালে হিরোশিমা প্রিফেকচারের ১১১ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যুর পর দেশের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ হন।
সোনোবে মারা যাওয়ার খবরটি আসে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি, ভেনেজুয়েলার হুয়ান ভিসেন্তে পেরেজ মোরা, ১১৪ বছর বয়সে মঙ্গলবার মৃত্যুর পর।
পেরেজকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস দ্বারা ২০২২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত ব্যক্তি হিসেবে নিশ্চিত করা হয়, যখন তার বয়স ছিল ১১২ বছর ২৫৩ দিন। সূত্র :জাপান টাইমস।
বিএনএ, এসজিএন /এইচমুন্নী