বিএনএ, ঢাকা: রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার হলেন ব্যবসায়ী আদম তমিজী হক। পাশাপাশি তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করেছে মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। এছাড়াও রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে চলছে মামলার প্রস্তুতি।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) গনমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। তিনি বলেন, আদম তমিজী হকের বিষয় নিয়ে রোববার জরুরি বৈঠকে বসে সবার সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাকে বহিষ্কার করার। আজ সোমবার তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করার সুপারিশ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভাই সিঙ্গাপুরে আছেন তাই তাকে আদম তমিজী হককে বহিষ্কার করতে দেরি হয়েছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই স্থায়ী বহিষ্কারের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। তাকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য তিনটি কারণ উল্লেখ করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ।
চিঠিতে বলা হয়েছে, অতিসম্প্রতি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আদম তমিজী হক কর্তৃক তার বাংলাদেশের পাসপোর্ট পোড়ানো ও আওয়ামী লীগ ও এর নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল গালাগাল এবং লাইভ সম্প্রচারের ভিডিও চিত্র হাতে আসায় আমরা বিস্মিত ও মর্মাহত হয়েছি।
এতে বলা হয়, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং-এ মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভায় আদম তমিজী হককে রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ড ও দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগের সংশ্লিষ্ট প্রমানাদি (ভিডিও চিত্র) প্রাপ্তি সাপেক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যহতি প্রদান করা হয়।
স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ জানিয়ে চিঠিতে আরও বলা হয়, অতএব, মাননীয় সভানেত্রী আমরা তাকে মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এর নির্বাহী কমিটির সদস্য পদ ও প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করছি।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায়, আদম তমিজী হক নিজের বাংলাদেশি পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলছেন।
সেই ভিডিওতে আদম তমিজী হক বলেন, আওয়ামী লীগের একজন নেতা ছিলাম আমি। আওয়ামী লীগ আমার ১ হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছে। আমাকে দেশ ছাড়া করেছে। আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোর চেষ্টা করছে। যে কারণে আমি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করলাম। এ দেশের নাগরিকত্ব আর চাচ্ছি না। কারণ, এদেশের নাগরিক হওয়ার যোগ্যতা আমার নেই।
বিএনএ/এমএফ/এইচ এ মুন্নী