বিএনএ, ঢাকা : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আসছে চমকের পর চমক। বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য প্রয়াত ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা প্রতিষ্ঠিত ‘তৃণমূল বিএনপি’রপ্রথম সম্মেলন নিয়ে অনেকের আগ্রহ তৈরি হয়েছে। বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৈমুর আলম খন্দকার সে সম্মেলনে দলটিতে যোগ দিচ্ছেন।
তাঁরা তৃণমূল বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বে আসছেন, এমন আলোচনাও রাজনৈতিক অঙ্গনে রয়েছে।
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে দলটির প্রথম সম্মেলন।
শুধু শমসের-তৈমুর ই নয়, বিএনপি থেকে বিভিন্ন সময় বাদ পড়া এবং দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকা একাধিক নেতাকর্মীও এ দলে যোগ দেবেন। সেই আলোচনায় রয়েছেন বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তারও আছেন।
তৃণমূল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শেখ হাবিবুর রহমান রোববার রাতে বলেন, শুধু সমশের মবিন বা তৈমুর আলম খন্দকারই নন, বিএনপির সাবেক নেতাদের আরও অনেকে তাঁদের দলে যোগ দেবেন।
আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকার ১৯৯৬ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদও পেয়েছিলেন তিনি।
তবে বিএনপি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও ২০২২ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন খন্দকার তৈমুর আলম। তাঁরা এই সিদ্ধান্তের কারণে গত বছরের জানুয়ারিতে তৈমুর আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।
অন্যদিকে সমশের মবিন চৌধুরী ছিলেন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় পররাষ্ট্রসচিব। তিনি যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বও পালন করেছেন। সরকারি চাকরি থেকে অবসরের পর ২০০৮ সালে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন সমশের মবিন চৌধুরী। তখন তিনি রাজনীতি থেকে অবসরে যাওয়ার কথাও বলেছিলেন।
তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান প্রসঙ্গে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, আমি তো আর আওয়ামী লীগে যোগ দেব না। যেহেতু বিএনপি আমাকে বহিষ্কার করেছে, সেহেতু আমাকে এখন তৃণমূল বিএনপিকে আঁকড়ে ধরে থাকতে হবে। আমি সেখানেই যাচ্ছি।
তৃণমূল বিএনপির প্রতীক সোনালি আঁশ। দলটির ইসিতে নিবন্ধিত হওয়ায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজেদের প্রতীকে ভোট করতে পারবে দলটি।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।