পররাষ্ট্র সচিব খুরশিদ আলম সাংবাদিকদের বলেছেন, বাংলাদেশ একাধিকবার বলার পরও সীমান্তে সংঘাত বন্ধ না হওয়া দুঃখজনক। দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে শক্ত অবস্থান থেকে আবারো মিয়ানমারকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ঢাকা এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনোভাবেই চায় না।
রোববার(১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে মন্ত্রাণালয়ে সমন্বয় সভা শেষে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব খুরশিদ আলম সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।
এর আগে বাংলাদেশ সীমান্তে একের পর এক গোলাবর্ষণের ঘটনায় রোববার সকালে চতুর্থবারের মতো ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মোকে ডেকে ব্যাখ্যা চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ সময় বাংলাদেশ সীমান্তে একের পর এক গোলাবর্ষণের ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে তাকে একটি চিঠি হস্তান্তর করা হয়।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব খুরশিদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমার সেনাদের সঙ্গে কার সংঘর্ষ হচ্ছে সেটি বাংলাদেশের মাথা ব্যাথা নয়। কিন্তু তা যেন কোনোভাবেই বাংলাদেশকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে, সে ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে দেশটিকে।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের জিরো পয়েন্টে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় মিয়ানমারের মর্টার শেল নিক্ষেপে ইকবাল নামের এক রোহিঙ্গা নিহত ও এক শিশুসহ পাঁচ রোহিঙ্গা আহত হয়।
এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার ভূখণ্ড থেকে ছোড়া একটি গুলি বাংলাদেশ সীমান্তের তুমব্রু এলাকায় এসে পড়ে, গত ৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকায় পড়ে এবং গত ২৮ আগস্ট বিকেলে মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা একটি মর্টার শেল বাংলাদেশের ঘুমধুমের তুমব্রুতে এসে পড়ে।
আগের খবর : চতুর্থ দফা মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে তলব
বিএনএনিউজ২৪,জিএন