বিএনএ ডেস্ক: আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের ওপর আক্রমণ করেছে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের শান্তিরক্ষী বাহিনী নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে আহত তাবিথ আউয়ালকে দেখতে গিয়ে এ অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঢাকা মহানগরে শান্তিপূর্ণভাবে মোমবাতি প্রজ্বালন করে আওয়ামী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া হয়। ঢাকা দক্ষিণে শান্তিপূর্ণভাবে এই কর্মসূচি হয়েছে। কিন্তু ঢাকা উত্তরে যখন কর্মসূচি প্রায় শেষ পর্যায়ে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা এসে জ্যেষ্ঠ নেতাদের ওপর আক্রমণ করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সেই হামলায় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, তাবিথ আউয়াল আহত হন। হামলায় আহত ছয়-সাতজন মহিলা কর্মী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাবিথ আউয়াল মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। অন্যান্যরা গুরুতর আহত। এখানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, শনিবার বিকেলে নোয়াখালী থেকে ঢাকায় আসার পথে কুমিল্লায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলুর ওপর আক্রমণ করা হয়, তিনিও রক্তাক্ত হয়েছেন। তাঁকে কুমিল্লা হাসপাতালে নেয়া হয়।
আওয়ামী লীগ ইচ্ছাকৃতভাবে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে। সমগ্র দেশে তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে গণতন্ত্রের কোনো পরিবেশ নেই। এখানে তারা যখন নির্বাচনের কথা বলে সেটা একটা প্রহসন ও বাতুলতা ছাড়া আর কিছু নয়।
শান্তিপূর্ণভাবে মানুষের দাবিগুলো নিয়ে বিএনপি আন্দোলন করছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করছে। সেই আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য ভয়াবহ সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করছে। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।
বিএনএ/এ আর