বিএনএ, ঢাকা : রাজধানীর খিলগাঁও ফ্লাইওভারের নিচে রেমন্ড টেইলার্সের সামনে ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের নাম- মোঃ মনিরুজ্জামান সুমন ও মোঃ ইমন। গত শুক্রবার কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানার আমড়াতলী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার এ সব তথ্য তুলে ধরেন।
ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, গত ১৫ মে সন্ধ্যায় খিলগাঁও ফ্লাইওভারের নিচে রেমন্ড টেইলার্সের সামনে রাস্তায় মনিরুজ্জামান সুমন ও তার সহযোগীরা সাইফুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। গুলিবিদ্ধ সাইফুল নিজেই একটি সিএনজিতে উঠে ঢাকা মেডিকেলে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার চিকিৎসা করেন।তার স্ত্রী সবুজবাগ থানায় ৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এই মামলা তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগ।
গ্রেফতার সম্পর্কে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, কুমিল্লার বরুড়া থানার আমড়াতলী এলাকা থেকে সুমন ও ইমনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজধানীর খিলগাঁও ত্রিমোহনী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ টি পিস্তল ও ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম, কচি, রিপন ও সুমন ছোটবেলার বন্ধু ছিল। তারা একসঙ্গেই রাজনীতি শুরু করে। সাইফুল দলীয় পর্যায়ে ২ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পায়। রিপন ও সুমন দলীয় পর্যায়ে পদ-পদবী না পাওয়ায় তাদের মধ্যে সম্পর্কের ফাটল সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে তারা পৃথক পৃথক গ্রুপ তৈরী করে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করতে থাকে। রিপন গ্রুপের সদস্য বাশারকে হত্যা মামলায় সাইফুল দীর্ঘদিন জেলে থাকার কারণে সুমন গ্রুপ এলাকায় একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড করতে থাকে। সাইফুল জেল হতে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর সুমন গ্রুপ ও রিপন গ্রুপ এলাকায় তাদের আধিপত্য বিস্তার হ্রাস পাওয়ার ভয়ে উভয় গ্রুপ একত্রিত হয়ে ভিকটিম সাইফুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ঘটনায় দিন রিপন, কচি, সুমন ও ইমনসহ ১২/১৩ জন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এসময় রিপন সাইফুলকে ২ রাউন্ড গুলি করে এবং গ্রেফতারকৃত সুমন ১ রাউন্ড গুলি করে সবাই পালিয়ে যায়।
ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরো বলেন, ঢাকা মহানগরের যেকোনো এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কোনো গুলির ঘটনা ঘটলে কাউকে ছাড় দেযা হবে না। এরূপ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় খিলগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিএনএনিউজ/আজিজুল/এইচ.এম।