28 C
আবহাওয়া
১:৪১ পূর্বাহ্ণ - সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » কর্ণফুলীতে ফারুক চৌধুরীর গ্রেপ্তার দাবি বিএনপি নেতার

কর্ণফুলীতে ফারুক চৌধুরীর গ্রেপ্তার দাবি বিএনপি নেতার

কর্ণফুলীতে ফারুক চৌধুরীর গ্রেপ্তার দাবি বিএনপি নেতার

বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করার জোর দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট এস এম ফোরকান।

এ সময় তিনি কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরীকে সন্ত্রাসের গডফাদার ও মিথ্যা মামলা সৃজনকারী আখ্যা দিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

১৮ আগষ্ট রাত সাড়ে ১০ টার সময় কর্ণফুলী থানা বিএনপির সাবেক এই সভাপতির দেওয়া স্ট্যাটাসটি দেবার সাথে সাথে ভাইরাল ও শত শত নেতাকর্মীরা তাঁতে মন্তব্য জুড়ে শেয়ার করেন।

এতে সাহাব উদ্দিন, রাশেদ খান মেনন, মো. আলম, জয়নাল, আক্তার, নুরুল আবছার, নুরুল হক, মির্জা বাহার, রবিউল হোসেন, মোহাম্মদ সোলায়মান ও হারুনুর রশীদসহ শত শত সাধারণ লোকজন দ্রুত কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক চৌধুরীকে গ্রেপ্তারপূর্বক বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

কেননা, এই ফারুক চৌধুরী ২০১৮ সালে বিএনপি নেতা এডভোকেট এসএম ফোরকানের বিজয় কেড়ে নিয়েছেন।

আমরা পাঠকের প্রয়োজনে এডভোকেট এস এম ফোরকানের ফেসবুক স্ট্যাটাসটির বানান শুদ্ধ করে হুবহু তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

“বিএনপি ৫ বছর ক্ষমতায় থাকাকালীন কর্ণফুলী বিএনপি কর্ণফুলীতে আওয়ামী লীগের সহিত শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করার বিনিময়ে শেখ হাসিনার ১৬ বছরে শাসনামলে আওয়ামী লীগ কর্ণফুলী বিএনপির উপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নিষ্ঠুর অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন, স্টিম রোলার চালায়। ২০১০ সালে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ঘরোয়া সভা চলাকালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ৫০-৬০ জন রামদা নিয়ে কর্ণফুলী বিএনপির অফিসে হামলা করেন।”

“বিএনপির নেতাকর্মীদের রক্তাক্ত করে আহত করেন। ভাঙচুর করে অফিস তছনছ করেন। ২০১০ সাল হতে ২০২৪ সালের ৩ আগষ্ট পযর্ন্ত ৯-১০ বার দফায় দফায় আমার গ্রামের বাড়ীতে হামলা করে, ভাঙচুর চালায়। ২০১৭ সালে উপজেলা নির্বাচনের পূর্বের গভীর রাতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আমার বাড়ীতে আক্রমণ করিয়া বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষণ করে আমাকে সপরিবারে হত্যা করার অপচেষ্টা চালায়।”

“বাড়ী ও গাড়ী ভাঙচুর করেন। উপজেলা নির্বাচনের পূর্বে ও নির্বাচনের দিন বহিরাগত শত শত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী ও সর্মথকদের রক্তাক্ত জখম করেন। ১৬ টি ভোট কেন্দ্রে হতে এজেন্ট বের করে দেয়। আমার বিজয় ছিনিয়ে নেয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের নেতাদের নির্দেশে ২০১০ সাল সাল হতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মী ও সর্মথকদের বিরুদ্ধে একের পর এক বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে শত শত নেতাকর্মী ও সমর্থককে গ্রেপ্তার করে কারা নিক্ষেপ করেন।”

“মাসের পর মাস কারাঅন্তরীণ করে রাখেন। বিশেষ করে ২০১৮ সালে প্রহসনের নির্বাচনের পূর্বে এক মাসের মধ্যে গায়েবি ঘটনা লিপিবদ্ধ করে ১০টি কর্ণফুলী থানায় ও ইপিজেড থানায় ৫টি বিশেষ ক্ষমতা আইনে মিথ্যা মামলা রুজু করেন। বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মীকে নির্মম নিষ্ঠুরভাবে গ্রেপ্তার করে কারাঅন্তরীণ করে রাখেন। এ সকল মিথ্যা মামলার কারণে শতশত নেতাকর্মী কারা ভোগ করার ফলে কেউ চাকুরী হারিয়েছেন, ব্যবসা হারিয়েছেন, কারো ছাত্রত্ব নষ্ট হয়েছে। সন্ত্রাসের গডফাদার ও মিথ্যা মামলা সৃজনকারী ফারুক চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি।”

বিএনএনিউজ/ বিএম/হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ