বিএনএ ডেস্ক: রাজধানীর উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের যে ক্রেনের গার্ডার চাপায় পাঁচজন নিহত হন সেই ক্রেনটি চালাচ্ছিলেন চালকের সহকারী রাকিব। দাড়িয়ে দাড়িয়ে নির্দেশনা দিচ্ছিলেন মূল চালক আল আমিন।
বৃহস্পতিবার (১৮ই আগস্ট) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, ক্রেনের মূল চালক আল আমিন। তার ভারী যান চালানোর লাইসেন্স নেই। আর তার সহকারি রাকিবের কোন লাইসেন্সই নেই।
কমান্ডার মঈন জানান, গত মে মাসে বিআরটি প্রকল্পে ক্রেন অপারেটর হিসেবে কাজ শুরু করে আল আমিন। হেলপার রাকিব তিন মাস আগে প্রকল্পে ক্রেন চালকের সহকারী হিসেবে যোগ দেয়।ক্রেন চালনার বিষয়ে তার কোন প্রশিক্ষণ ছিল না।
র্যাব জানায়, দুর্ঘটনার দিনে আল আমিন ও রাকিব দুপুর ২টায় ক্রেন চালনা শুরু করে। একটি গার্ডার স্থাপনের পর দ্বিতীয় গার্ডার স্থাপনের সময় ঘটে দুর্ঘটনা। ক্রেনটির ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত ওজনের গার্ডার তুলতে গেলে হারায় নিয়ন্ত্রণ। তখন গার্ডারটি প্রাইভেট কারের ওপর ছিটকে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর ক্রেনের মূল চালক আল আমিন ও হেলপার রাকিব ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
সোমবার (১৫ই আগস্ট) বিকেলে উত্তরা জসীম উদদীন রোডের ঐ দুর্ঘটনায় দুই শিশুসহ পাঁচ জন নিহত হয়। ঘটনার দিন রাতেই নিহত ফাহিমা আক্তার ও ঝরণার ভাই মো. আফরান মণ্ডল বাবু বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অবহেলাজনিতভাবে ক্রেন পরিচালনাকারী চালক, প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
গ্রেফতার অন্যদের মধ্যে আছেন, দুর্ঘটনাস্থলে নিরপাত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ফোর ব্রাদার্স গার্ড সার্ভিসের ট্রাফিক ম্যান মো. রুবেল (২৮), মো. আফরোজ মিয়া (৫০), ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সেফটি ইঞ্জিনিয়ার মো. জুলফিকার আলী শাহ (৩৯), হেভি ইকুইপমেন্ট সরবরাহের দায়িত্বে নিয়োজিত ইফসকন বাংলাদেশ লিমিটেডের সত্বাধিকারী মো. ইফতেখার হোসেন (৩৯), হেড অব অপারেশন মো. আজহারুল ইসলাম মিঠু (৪৫), ক্রেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বিল্ড ট্রেড কোম্পানীর মার্কেটিং ম্যানেজার তোফাজ্জল হোসেন ওরফে তুষার (৪২), প্রশাসনিক কর্মকর্তা রুহুল আমিন মৃধা (৩৩) ও মঞ্জুরুল ইসলাম (২৯)।
বুধবার (১৭ই আগস্ট) রাতে ঢাকা, গাজীপুর, সিরাজগঞ্জ ও বাগেরহাট থেকে ক্রেন চালক ও তার সহকারী এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মীদের গ্রেফতার করে র্যাব।
বিএনএ/এ আর