19 C
আবহাওয়া
২:১৮ পূর্বাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চট্টগ্রামে ভোগ্যপণ্যের বাজার চড়া, ক্রেতাদের নাভিশ্বাস

চট্টগ্রামে ভোগ্যপণ্যের বাজার চড়া, ক্রেতাদের নাভিশ্বাস

চট্টগ্রামে ভোগ্যপণ্যের বাজার চড়া, ক্রেতাদের নাভিশ্বাস

।।ওসমান গনী।।

একটু সস্তার মধ্যে ছিল ফার্মের মুরগী । তাও এখন চড়া ।১৭০ থেকে ২২০ এ উঠানামা করছে। কাঁচা মরিচ ৩০০ টাকা। টমেটো ১০০ টাকা। আলু মোটামুটি নাগালের মধ্যে আছে । ২৫ থেকে ৩০ টাকা । তেলের দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে  সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েই চলছে। দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা ।

চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে,  এমন কোনো পণ্য নেই যার দাম বাড়েনি। চড়া মূল্যে আঁতকে উঠছেন মধ্যবিত্ত-নিম্নমধ্যবিত্ত ও খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।চিনি বেড়েছে এক লাফে ৯০ টাকা । আগে ছিল ৭০ টাকা। আর ডিম বাড়ানো নিয়ে চলছে সিন্ডিকেটের কারসাজি।এতদিন খুচরা বাজারে কোথাও কোথাও  ডিম বিক্রি হয়েছে  হালিপ্রতি ৫৬ টাকা থেকে ৬০ টাকা দরে। আজকের(১৮ আগস্ট) বাজারে প্রতি পিচ ডিম ১৩ টাকা । কিছুদিন আগেও প্রতিটি ডিম বিক্রি হয়েছিল ৯ টাকা দরে।  নিম্ন আয়ের মানুষের নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় এ খাদ্য পণ্যটির দাম হুট করে  ৪-৫ টাকা বেড়ে গেছে। । এতে চরম অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।
একটু সস্তার মধ্যে ছিল ফার্মের মুরগী

চালের বাজারে অস্থিরতা। মাছ-গোশতের বাজারে আগুন। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শাকসবজির দামও। খাদ্যবহির্ভূত পণ্য থেকে শুরু করে চিকিৎসা-ব্যয় সব দিকেই বাড়তি মূল্য। আর সবক্ষেত্রে এমন মূল্যবৃদ্ধির চাপে সবার আগে চিড়েচ্যাপ্টা স্বল্প আয়ের মানুষ।

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর বেড়েছে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়। স্কুল, বাজার, কর্মক্ষেত্রে যাতায়াতে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে। মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, বাস, নৌযান অর্থাৎ জ্বালানি তেলনির্ভর সব যানবাহনে বেড়েছে ভাড়া। তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে অন্যান্য নিত্যপণ্যে।

নিত্যপণ্যের মধ্যে অধিকাংশ সবজির দামই আগের তুলনায় বেশি।  বেগুন ৬০-৬৫, ঢ্যাঁড়স ৪৫-৫০, । এছাড়া লালশাক, ডাঁটাশাকসহ বিভিন্ন শাকের আঁটি ১০-২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। তবে আগের তুলনায় আঁটি ছোট হয়েছে। এদিকে লাউ, কুমড়া, কচু, ঝিঙেসহ অন্যান্য সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বেশি। গরুর মাংস কেজি  ৭০০ টাকাতো আছেই।
মাছ-গোশতের বাজারে আগুন

নজরুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন,    ‘যেদিন মাছ কিনতে পারতাম না, সেদিন ডিম কিনে নিতাম। ডিম, আলু আর ডাল দিয়ে তিন বেলা খাওয়া যেত। ঘরের বাচ্চারাও খুশি থাকত। এখন কী করব? ডিমের দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে ডিমও ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষের ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।’

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বিষয়ে ক্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বিএনএকে বলেন,তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে প্রয়োজন ছাড়াই অনেকে দ্রব্যমূল্যরে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এ অজুহাত সবকিছুর দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। আমাদের হিসেবে প্রতি কেজি চালের পেছনে পরিবহন খরচ বেড়েছে ৫০ পয়সা, সেখানে চালের দাম প্রতি কেজিতে ৫/ ৭ টাকা বাড়িয়ে দেয়া হযেছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ঠেকাতে  তদারকি বাড়াতে হবে। বিকল্প উপায়ে টিসিবি’র মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে ভোগ্যপণ্য বিক্রি বাড়াতে হবে##

 

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ