বিএনএ, স্পোর্টস ডেস্ক : রান খরায় ভুগতে থাকা সাকিব আল হাসানের ব্যাট হাসল। হারারের স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার পেয়েছেন বড় ইনিংসের দেখা। এ সুবাদে পাঁচ বল হাতে রেখে টাইগাররা জিতল ৩ উইকেটে। তাতেই সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। সাকিব ৯৬ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেছেন। এটি বাংলাদেশের ২৮ তম ওয়ানডে সিরিজ জয়।
টসে জিতে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশকে ২৪১ রানের টার্গেট দেয় স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। ব্যাটিংয়ে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে বাংলাদেশ। সহজ লক্ষ্যটাও কঠিন হয়ে উঠে টাইগারদের কাছে। এগিয়ে আসেন সাকিব আল হাসান। অষ্টম উইকেট জুটিতে সাইফুদ্দিনের সঙ্গে ৬৯ রানের জুটি পাঁচ বল বাকি থাকতে জয় পায় বাংলাদেশ। এর আগে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে আউট হওয়ার মিছিল শুরু হয় অধিনায়ক তামিম ইকবালের মাধ্যমে। প্রথম ম্যাচে তিনি ০-তে ফিরে গিয়েছিলেন। এ ম্যাচে ২০ রান করে ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন বড় ইনিংস খেলার। কিন্তু বোলিংয়ে এসে দশম ওভারে তামিমকে থামান লুক জঙ্গুয়ে। পয়েন্টে ডাইভ দিয়ে টাইগার অধিনায়কের ক্যাচ মুঠোয় জমান দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা সিকান্দার রাজা। ৯.৩ ওভার লড়াই করার পর মাত্র ৩৯ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। রান আউটের হাত থেকে বেঁচে যাওয়ার পর বেশিক্ষণ টিকলেন না লিটন দাস। রিচার্ড এনগারাভাকে পুল করে ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন এই ওপেনার। চারটি চারে ৩৩ বলে ২১ রান করেন লিটন।
এখান থেকে ইনিংসে মড়কের শুরু সাকিব আল হাসানের সঙ্গী হতে এসে কেউ দাঁড়াতেই পারছিলেন না। মোহাম্মদ মিঠুন আউট হন বাজে এক শটে ২ রান করে। বাজেভাবে রান আউট হয়ে দলকে বড় বিপদে ফেলেন মোসাদ্দেক হোসেন। তিনি ফিরেছেন মাত্র ৫ রান করে। তবে সাকিব একাই লড়াই করতে থাকেন। সঙ্গীহীন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ দু’জনের ব্যাটে আসে দলের প্রথম ৫০ রানের জুটি। কিন্তু ৩৫ বলে ২৬ রান করে রিয়াদ ফিরে গেলে ফের বড় বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজও ৬ রান করে বিদায় নেন। প্রয়োজন ছড়াই ঝুঁকি নিয়ে উড়িয়ে মারেন মিরাজ। এর মাশুল দিলেন নিজের উইকেট বিলিয়ে। ৩২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৬ উইকেটে ১৪৫। ক্রিজে সাকিবের সঙ্গী আফিফ হোসেন। জয়ের জন্য শেষ ১৮ ওভারে সফরকারীদের চাই ৯৬ রান। তরুণ আফিফ হোসেন ২৩ বলে ১৫ রান করার পথে বাজে এক শট খেলতে গিয়ে আউট হন।
জিম্বাবুয়ের করা ২৪০ রানে সর্বোচ্চ রান আসে মাধেভেরের ব্যাট থেকে। তিনি ৫৬ রান করেন। এছাড়া টেইলর ৪৬, মায়ার্স ৩৪, চাকাভা ২৬ করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ৫০ ওভারে ২৪০/৯ (কামুনহুকামউই ১, মারুমানি ১৩, চাকাভা ২৬, টেইলর ৪৬, মায়ার্স ৩৪, মাধেভেরে ৫৬, রাজা ৩০, জঙ্গুয়ে ৮, মুজারাবানি ০, চাতারা ৪*, এনগারভা ৭*; তাসকিন ১০-০-৩৮-১, সাইফ ১০-০-৫৪-১, মিরাজ ৭.২-০-৩৪-১, শরিফুল ১০-০-৪৬-৪, সাকিব ১০-০-৪২-২, মোসাদ্দেক ১.৪-০-৭-০, আফিফ ১-০-১১-০)
বাংলাদেশ: ৪৯.১ ওভারে ২৪২/৭ (তামিম ২০, লিটন ২১, সাকিব ৯৬*, মিঠুন ২, মোসাদ্দেক ৫, মাহমুদউল্লাহ ২৬, মিরাজ ৬, আফিফ ১৫, সাইফ ২৮*; মুজারাবানি ৯.১-১-৩১-১, চাতারা ৭-১-৫২-০, জঙ্গুয়ে ৮-০-৪৬-২, এনগারাভা ৯-১-৩৩-১, মাধেভেরে ১০-০-৩৯-১, রাজা ৬-০-৩৩-১)
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।