24 C
আবহাওয়া
১১:১৮ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২১, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সভাপতির গরু দেরিতে জবাই করায় ইমামকে মারধর

সভাপতির গরু দেরিতে জবাই করায় ইমামকে মারধর


বিএনএ, গাজীপুর: মসজিদ কমিটির সভাপতির কোরবানির গরু দেরিতে জবাই করায় এক ইমামকে মারধর ও চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। সোমবার (১৭ জুন) পবিত্র ঈদের দিন এমন ঘটনা ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাংনাহাটি মধ্যপাড়া বায়তুন নূর জামে মসজিদে।

অভিযুক্ত সভাপতির নাম কফিল উদ্দীন। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার ভাংনাহাটি মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত জাফর আলীর ছেলে ও ভাংনাহাটি মধ্যপাড়া বায়তুন নূর জামে মসজিদের সভাপতি।

সভাপতির এমন অমানবিক স্বেচ্ছাচারিতা কর্মকাণ্ডের জন্য নিন্দা প্রকাশ করে স্থানীয়রা জানান, সকালে ঈদুল আজহার নামাজ শেষে ঈদগাহ মাঠ থেকে মুসল্লিরা বাড়ি ফিরে কোরবারির পশু জবাইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এসময় বেশ কজন মুসল্লি তাদের পশু জবাই করার জন্য ঈমামের সাহায্যে চান। এরপর এক মুসল্লির গরু জবাইয়ের জন্য গেলে মসজিদ কমিটির সভাপতি কফিল উদ্দীন তার কোরবানির পশু (গরু) জবাইয়ের জন্য ইমামকে ফোন দেন। এ সময় ইমাম পাশের আরেক বাড়ির পশু জবাই করে আসছেন বলে জানালে ক্ষিপ্ত হন তিনি। পরে ইমাম সভাপতির গরু জবাই করতে তার কাছে গেলে তিনি (সভাপতি) রেগে গিয়ে ইমামকে মারধর শুরু করেন। এ সময় আশপাশের অন্যরা এগিয়ে এসে ইমামকে উদ্ধার করেন।

সভাপতির লাঞ্ছনার শিকার ভাংনাহাটি মধ্যপাড়া বায়তুল নুর জামে মসজিদের ইমাম আবু বকর বলেন, অনুমতি ছাড়া আগে অন্য গরু জবাই করার অপরাধে আমাকে গালমন্দ করেন এবং আমার শরীরেও হাত তোলেন। আমাকে গলায় চেপে ধরেন সভাপতি। শ্রীপুরে কোথায় ইমামতি করি এটাও দেখে নেবেন বলে হুমকি দেয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে মসজিদ কমিটির সভাপতি কফিল উদ্দীনের মুঠোফোনে ফোন দিয়ে সংবাদকর্মী পরিচয় দিলে তিনি প্রথমে ফোন কেটে দেন। পরে গলায় চেপে ধরার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। সামান্য কথাকাটাকাটি হয়েছে।

হুজুর চলে গেছে কেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে সভাপতি বলেন, উনি ছুটিতে গেছেন। আমি অসুস্থ। এ বিষয়ে আর কোনো কথা বলতে পারব না।

পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান মণ্ডল বলেন, নামাজের পরে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে ইমাম আমার কাছে এ বিষয়ে বিচার দিয়েছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন ঈদের দিন ইমামকে মারধর করা একটা জঘন্য কাজ। এমন ন্যাক্কারজনক কাজের জন্য উপযুক্ত আইনগত শাস্তি পাওয়া উচিত।

শ্রীপুর মডেল থানার ডিউটি অফিসার (এসআই) সুজন কুমার পণ্ডিত বলেন, এমন কোনো খবর আমাদের জানা নেই। তবে এমন বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগও করেনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

বিএনএ/এমএফ/এইচমুন্নী

Loading


শিরোনাম বিএনএ