বিএনএ, ঢাকা: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীকে একই মায়ের দুই সন্তান বলে অভিহিত করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। তিনি বলেন, দু’টি দলের জন্মই পাকিস্তানে। পাকিস্তানি জামায়াতের অংশ হলো বাংলাদেশের জামায়াত। আর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। এই দু’টি দল একই মায়ের পেটের সন্তান। এই কথাটা ওরাও খুব গর্ব করে বলে। এরা বাংলাদেশের কেউ না। এই দল দুইটি বাংলাদেশবিরোধী রাজনৈতিক দল।
বুধবার (১৮ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে একটি পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলের যৌথ আয়োজনে ‘আগামী নির্বাচন: রাজনৈতিক সংকট ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক মুক্ত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপির মূল শক্তি হলো জামায়াত। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে বিএনপি নেতারা বলেছেন, ছাত্রশিবির আর ছাত্রদল একই মায়ের দুই সন্তান। বিএনপি-জামায়াত একই মায়ের পেটের দুই ভাই। একই মুদ্রার এপিট-ওপিট। এদের সৃষ্টি একই জায়গা থেকে। জামায়াতের নেতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে মামলা হয়। ২০১৩ সালে তাদের ফাঁসির রায় হয়। তাই তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল না। জামায়াত যেহেতু অংশ নিতে পারছে না, তাই বিএনপিও অংশ নেয়নি।
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে জানিয়ে হানিফ বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, সংবিধান অনুযায়ী হবে এবং সব দলকে নিয়েই হবে। আর সেই নির্বাচন যদি সুষ্ঠুও হয়, তাও অন্য সব দলের কিছু অভিযোগ থাকবে। এটাই আমাদের আচরণগত স্বভাব। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে।
হানিফ বলেন, আমরা করোনা সংকট মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। তাই আমাদের অর্থনীতি নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিতিশীলতার কারণে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে একটু অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করছি আমরা। সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। আশা করি, শিগগিরই আমরা স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পারব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী, গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক সাদেকা হালিম, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রানা দাশ গুপ্ত, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি কাজল দেবনাথসহ অন্যরা।