বিএনএ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একক ভর্তি পরীক্ষা প্রসঙ্গে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন প্রসঙ্গে মুখ খুলেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন। সোমবার (১৭ এপ্রিল) বাংলাভিশনের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলাম।
রাবি উপ-উপাচার্য বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত ‘৭৩-এর অধ্যাদেশ দ্বারা পরিচালিত হয়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে আছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি। আচার্যের যেকোনো আদেশ, সেটা যদি একাডেমিক হয়—সেক্ষেত্রে একাডেমিক কাউন্সিলে; প্রয়োজন সাপেক্ষে সিন্ডিকেটে আলোচনার পর আমরা সেটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করি। যেহেতু বিষয়টি পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের সাথে সম্পর্কিত, তাই আমাদের হাতে সময় আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, ভর্তি পরীক্ষা প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
দেশব্যাপী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার একটি সুনাম আছে উল্লেখ করে ড. সুলতান-উল-ইসলাম জানান, “দেশের অন্যতম প্রাচীন এবং বৃহৎ প্রতিষ্ঠান হিসেবে শিক্ষার্থীরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসে। আমরা চাই, কোনো ভর্তিচ্ছু যেন বৈষম্যের স্বীকার না হন।”
এদিকে, একক ভর্তি পরীক্ষা প্রসঙ্গে এখনই কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপকগণ। তবে, শিক্ষকদের একটি বড় অংশ চান নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হোক।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদী এ প্রসঙ্গে বলেন, “মহামান্য রাষ্ট্রপতির জারিকৃত প্রজ্ঞাপনটি সম্পর্কে এখনই কোনো মন্তব্য করাটা উচিৎ হবে না। তাছাড়া, শিক্ষক সমিতিতেও বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনো আলোচনা হয়নি।
ভর্তি কার্যক্রম সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিনিয়র অধ্যাপক বলেন, “আমাদের একাডেমিক কাউন্সিলে নিশ্চয়ই একক ভর্তি পরীক্ষর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। সেখানে বিভাগগুলোর সিনিয়র অধ্যাপকগণ থাকবেন। সার্বিক দিক বিবেচনা করেই এ প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত নিবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (১৫ এপ্রিল) যুগ্ম সচিব মো: মাহমুদুল আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের চ্যান্সেলর এর অভিপ্রায় অনুযায়ী বিগত সময়ে যে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় যুক্ত ছিল তাদের অংশগ্রহণে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করার এবং ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ হতে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে একক ভর্তি পরীক্ষার আওতায় নেয়ার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে দায়িত্ব প্রদান করা হলো।
প্রজ্ঞাপন জারির পর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ থেকে সরে আসে এবং পুনরায় গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছে।
বিএনএ/সাকিব/এইচ.এম।