বিএনএ: খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ২৩ দিন আগে চুরি হওয়া নবজাতককে (ছেলে সন্তান) উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে নড়াইলের কালিয়া উপজেলা থেকে নবজাতককে উদ্ধার করা হয়। ওই নবজাতককে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয় নিঃসন্তান এক দম্পতির কাছে।
পুলিশ জানায়, র্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে যে নারী নবজাতককে চুরি করে নিয়ে গিয়েছিলেন, তাকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি।
পুলিশ জানায়, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়নের পার-বিষ্ণপুর গ্রামের রাশেদ মোল্লার বাড়ি থেকে নবজাতককে উদ্ধার করা হয়। তারা এক লাখ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে তাকে ঢাকা থেকে কেনার দাবি করেন।
উদ্ধার হওয়া নবজাতকটি বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার পিলজঙ্গের তোরাব আলী ও রানী বেগমের। তার পরিচয় নিশ্চিতের জন্য শিশুটিকে বর্তমানে খুমেকের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ডিএনএ টেস্টের জন্য রাখা হয়েছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ জানুয়ারি সকালে প্রসব বেদনা উঠলে রানিমাকে ফকিরহাট থেকে অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ওই দিন দুপুরে একটি ছেলে শিশুর জন্ম দেন রানিমা। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ছাড়পত্র দেয়।
এরপর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে গাড়ি ভাড়া নিয়ে এক চালকের সঙ্গে নবজাতকটির বাবা তোরাব আলীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ওই চালক গাড়ির চাবি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন। এর মধ্যে আরও কয়েকজন চালক তার ওপর চড়াও হন। গাড়িচালকদের সঙ্গে একজন নারীও ছিলেন।
এ সময় নবজাতকটি তার আরেক বোন সোনিয়া বেগমের কোলে ছিল। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে চালকের সঙ্গে থাকা ওই নারী কৌশলে তার নবজাতককে নিয়ে পালিয়ে যান বলে ভুক্তভোগী পরিবার জানায়।
এ প্রসঙ্গে সোনাডাঙ্গা থানার এসআই তোফায়েল হোসেন জানান, এ ঘটনায় ২৫ জানুয়ারি নবজাতকের নানা বেলায়েত হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালিয়া থেকে ওই নবজাতককে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
বিএনএনিউজ/এ আর