বিএনএ: পাবলিক পরীক্ষায় কোনো শিক্ষার্থীকে পাশ করাতে না পারা প্রতিষ্ঠানে বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। এমপিওভুক্ত হলে সেগুলোর সরকারি বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেয়া হয়। নন-এমপিও প্রতিষ্ঠান হলেও শোকজসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া হয়ে থাকে। তবে এবার ভিন্ন পথ বেছে নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সব প্রতিষ্ঠানের কাছে সমস্যা জানতে চাওয়া হবে। এরপর সেগুলোর মান উন্নয়নের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ‘শূন্যপাশ’ প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ‘কারণ’ জানতে শিক্ষা বোর্ডগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত অফিস আদেশে বলা হয়, গত ৮ ফেব্রুয়ারি দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডগুলো ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কোনো শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়নি, অর্থাৎ পাশের হার শূন্য, সেসব প্রতিষ্ঠানের তালিকা ৩ কর্মদিবসের মধ্যে পাঠাতে বলা হবে।
এবার কারিগরি ও মাদ্রাসাসহ ১১টি শিক্ষা বোর্ডে ৫০টি কলেজ ও মাদ্রাসায় একজন পরীক্ষার্থীও পাশ করেনি। এর আগে গত বছরের শেষের দিকে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। ২০২২ সালের ওই পরীক্ষায়ও ৫০ স্কুল ও মাদ্রাসায় কোনো শিক্ষার্থী পাশ করেনি। এসব প্রতিষ্ঠানেরও মান উন্নয়নের লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
এ লক্ষ্যে গত ২৯ জানুয়ারি সব শিক্ষা বোর্ডকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সমস্যা ও সম্ভাবনা অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে অধিদপ্তরের মাধ্যমে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এবার এইচএসসি ও সমমানে যে ৫০টি প্রতিষ্ঠানে শূন্যপাশ সেগুলোর মধ্যে ৬টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন ৪৪টি কলেজ আছে। সবচেয়ে বেশি ফেল করা কলেজ ১৩টি দিনাজপুর বোর্ডে। মাদ্রাসা ৪টি আর কারিগরি কলেজ আছে ২টি। ঢাকা বোর্ডে ৮টি, রাজশাহীতে ৯টি, কুমিল্লায় ৫টি, যশোরে ৬টি এবং ময়মনসিংহে ৩টি কলেজ আছে। অন্যদিকে এসএসসিতে শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল করা ৫০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪১টিই মাদ্রাসা। বাকিগুলো স্কুল।
বিএনএনিউজ/এ আর