বিএনএ, স্পোর্টস ডেস্ক : সর্বশেষ ২০০১ সালে হয়েছিল চট্টগ্রাম ক্রিকেট আম্পায়ার্স এন্ড স্কোরার এসোসিয়েশন আয়োজিত মাস্টার্স কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। মাঝখানে ২০ বছর বিরতির পর আবার শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) শুরু হতে যাচ্ছে মাস্টার্স টি-২০ ক্রিকেট ২০২১।
এবারের টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে ছয়টি দল। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) অফিসার্স ক্লাবে এবারের আসরের ট্রফি উম্মোচন করা হয়। আর এ অনুষ্ঠানটি হয়ে উঠে ক্রিকেট খেলোয়াড় ও সংগঠকদের মিলনমেলা। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে চট্টগ্রামের যারা কখনও খেলোয়াড় হিসেবে বা কখনও সংগঠক হিসেবে ক্রীড়াঙ্গনে অবদান রেখেছেন বা রেখে চলছেন তারা এক হয়েছেন, মেতেছেন আড্ডায়, করেছেন স্মৃতিচারণ। তাদের কথায় উঠে এসেছে ক্রীড়াঙ্গনের নানা চড়াই উৎরাইয়ের কথা। না জানা অনেক কিছু জেনেছে বর্তমান প্রজন্ম। অনেক দিন পর সহকর্মী, একসঙ্গে খেলা করা মানুষগুলোকে পেয়ে আপ্লুত হয়ে উঠেন কেউ কেউ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মো. মমিনুর রহমান।
জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান বলেন, আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি এখানে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোয়। এখানে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো না হলে এত গুণী মানুষকে একসঙ্গে দেখার সুযোগ পেতাম না।
তিনি আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ক্রীড়ামোদি সরকার প্রধান। ক্রীড়াভক্ত এমন সরকার প্রধান বিশ্বে বলতে গেলে বিরল।
চট্টগ্রাম ক্রীড়াঙ্গন আবার জেগে উঠবে আশাবাদ ব্যক্ত করে জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান বলেন, এবারের জেগে উঠা যে কোনবারের চেয়ে বেশি চমৎকার হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আজম নাসির উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রামে যতগুলো খেলার ইভেন্ট আয়োজন হয়, দেশে অন্য জায়গাগুলোতে এত ইভেন্ট আয়োজনের নজির নেই। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ভালো খেলোয়াড় তৈরি করা।
চট্টগ্রাম খেলার দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়েছে এ বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে আজম নাসির বলেন, এখন প্রতিদ্বন্ধিতা বেড়ে গেছে। এক জেলা থেকে চার পাঁচ জন কিংবা এর বেশি খেলোয়াড় জাতীয় দলে খেলবে এমন আশা করাটা বাস্তব নির্ভর নয়।
চট্টগ্রামে খেলার মাঠের বড় অভাব উল্লেখ করে আজম নাসির বলেন, একই মাঠে ক্রিকেট খেলাও হচ্ছে আবার ফুটবল খেলাও হচ্ছে। আবার হকিও হচ্ছে। খেলা ভিত্তিক আলাদা মাঠের ব্যবস্থা করা গেলে আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি আগামী ৫ থেকে ৭ বছরের মধ্যে চট্টগ্রামের আরও বেশি খেলোয়াড় জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পাবে।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিচারপতি আব্দুল হাকিম, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, চট্টগ্রাম ক্রিকেট আম্পায়ার্স এন্ড স্কোরার এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান আকবর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন মো. আলমগীর। এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম ক্রিকেট আম্পায়ার্স এন্ড স্কোরার এসোসিয়েশন সভাপতি এডভোকেট শাহীন আকতার রেজা চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সাবেক খেলোয়াড়, জাতীয় দলের ক্রিকেটার এবং ক্রীড়ায় পৃষ্ঠপোষকতা এ তিন ক্যাটাগরিতে সম্মাননা দেওয়া হয়।
পরে ইস্পাহানি টিমের জার্সি উম্মোচন করা হয়। উম্মোচন করেন পোর্টল্যান্ড গ্রুপের ডিরেক্টর জহিরুল কাইয়ুম। ইস্পাহানি এনএমসি বাংলাদেশ টিমের স্পন্সর প্রতিষ্ঠান হলো শেল মেরিন ডিস্ট্রিবিউটর, পোর্টল্যান্ড গ্রুপ।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।