25 C
আবহাওয়া
১:৪৫ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বাংলাদেশীদের জন্য থাইল্যান্ডের ই-ভিসা

বাংলাদেশীদের জন্য থাইল্যান্ডের ই-ভিসা

বাংলাদেশীদের জন্য থাইল্যান্ডের ই-ভিসা

ঢাকা:  বাংলাদেশীদের জন্য ভ্রমণ সহজ করার লক্ষ্যে ই-ভিসা সেবা চালু করছে থাইল্যান্ড। এর ফলে দেশটিতে ভ্রমণের জন্য ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া আরো সহজ ও কার্যকর হবে।

রোববার(১৫ ডিসেম্বর ২০২৪) রয়াল থাই এম্বাসি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলেও সোমবার গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ করা হয়েছে।

২ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে বাংলাদেশীদের জন্য ই-ভিসা সেবা চালু করা হবে বলে দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকরা আগামী ২ জানুয়ারি থেকে ই-ভিসা সেবা পেলেও সরকারি পাসপোর্টধারীদের আগামী ১৯ ডিসেম্বর থেকে এ সুবিধা দেবে দেশটির সরকার।

আবেদনের ১০ দিনের মধ্যে ইমেইলে এ ভিসা দেয়া হবে। আবেদনকারীদের https://www.thaievisa.go.th ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আবেদন করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, এই নতুন ব্যবস্থার মাধ্যমে আবেদনকারীরা ই-মেইলের মাধ্যমে অনুমোদিত ভিসা পাবেন। এরপর এটি প্রিন্ট করে থাই ইমিগ্রেশন সেন্টারে উপস্থাপন করতে পারবেন তারা।

আবেদনকারীরা https://www.combank.net.bd/thaievisa ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দূতাবাসের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আবেদন ফি জমা দিতে পারবেন। এরপর দূতাবাসের ফি যাচাইকরণের জন্য প্রণীত সিস্টেম পেমেন্ট ইনফো সামারিতে তার তথ্য দিতে হবে।

ই-ভিসা চালুর ফলে আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে ঢাকার থাইল্যান্ডের ভিসা সেন্টারটি বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে দূতাবাস।

ট্যুরিস্ট ভিসা “TR”

এই ধরনের ভিসা তাদের জন্য ইস্যু করা হয় যারা পর্যটন উদ্দেশ্যে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করতে চান।

প্রয়োজনীয়তা:

১.আবেদন ফর্ম: আবেদনকারীর দ্বারা যথাযথভাবে পূরণকৃত এবং স্বাক্ষরিত ফর্ম।

২.পাসপোর্ট: ভ্রমণের জন্য বৈধ পাসপোর্ট, যার মেয়াদ ন্যূনতম ছয় মাস থাকতে হবে।

৩. পাসপোর্টে ভিসা স্টিকার এবং ইমিগ্রেশন স্ট্যাম্পের জন্য কমপক্ষে ২টি খালি পৃষ্ঠা থাকতে হবে।

৪.পাসপোর্টের কপি:

তথ্য পৃষ্ঠার কপি।
সর্বশেষ থাই ভিসার পৃষ্ঠার কপি এবং নবায়ন পৃষ্ঠার কপি (যদি থাকে)।

৫ প্রথম আবেদনকারীর নথি:

স্পনসরশিপ লেটার, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট, বিবাহ সনদ এবং/অথবা সম্পর্কের প্রমাণপত্র।


৬. যোগাযোগ নম্বর: সক্রিয় ফোন নম্বর।৭.পাসপোর্ট সাইজ ছবি: ২টি রঙিন ছবি (৩.৫ x ৪.৫ সেমি), সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে এবং সর্বশেষ ৬ মাসে তোলা।

আর্থিক প্রমাণ:

৭. ব্যাংকের সলভেন্সি সার্টিফিকেট এবং গত ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট (কমপক্ষে ২০,০০০ থাই বাত প্রতি ব্যক্তি এবং ৪০,০০০ থাই বাত প্রতি পরিবার অথবা ৬০,০০০ টাকা প্রতি ব্যক্তি এবং ১,২০,০০০ টাকা প্রতি পরিবার)।
শুধুমাত্র মূল ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং ব্যাংক সলভেন্সি চিঠি গ্রহণযোগ্য।

৮. যদি আবেদনকারী কোনো কোম্পানির দ্বারা স্পনসর হন এবং কোম্পানির ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও সলভেন্সি চিঠি জমা দেন, তবে ট্রেড লাইসেন্স সংযুক্ত করতে হবে।

৯. ফ্লাইট টিকিট: রাউন্ড-ট্রিপ এয়ার টিকিট বা বুকিং নিশ্চিতকরণ।

১০. ভিসা অনুরোধপত্র এবং সুপারিশপত্র:

১১. আবেদনকারীর ভিসা অনুরোধপত্র।
১২. চাকরিজীবীদের জন্য নিয়োগকর্তার সুপারিশপত্র এবং সেলারি ব্যাংক স্টেটমেন্ট (অগ্রাধিকারযোগ্য)/পে স্লিপ/সেলারি সার্টিফিকেট।
১৩. চিকিৎসকদের জন্য বিএমডিসি সার্টিফিকেট বা হাসপাতালের চিঠি।
১৪. আইনজীবীদের জন্য বার কাউন্সিল সার্টিফিকেট বা আইন প্রতিষ্ঠানের চিঠি।
১৫. ছাত্রদের জন্য স্কুল/বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপারিশপত্র, ছাত্র পরিচয়পত্র বা ভর্তি প্রমাণ।

সম্পর্কের প্রমাণ:

পরিবারের সঙ্গে আবেদন করলে সম্পর্কের প্রমাণ।
বিবাহ সনদের কপি (বাংলায় হলে নোটারি করা ইংরেজি অনুবাদ ও মূল কপির ফটোকপি)।

ট্রেড লাইসেন্স:

ব্যবসার ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স (নোটারি করা ইংরেজি অনুবাদ ও মূল কপির ফটোকপি)।
সীমিত কোম্পানির জন্য মেমোরেন্ডাম অব আর্টিকেল।

অভিভাবকের সম্মতি পত্র:

১৮ বছরের নিচে শিশুদের জন্য অভিভাবকের সম্মতি পত্র।
যদি পাসপোর্টে অভিভাবকের নাম উল্লেখ না থাকে, তবে শিশুর জন্ম সনদ জমা দিতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ নোট:
থাই নথিপত্রের জন্য সংক্ষিপ্ত ইংরেজি বিবরণ প্রদান করতে হবে (যেমন: কোম্পানি “এ” এর ব্যবসার লাইসেন্স)।
অন্যান্য বিদেশি ভাষার (বাংলা সহ) নথিপত্র ইংরেজিতে অনুবাদ করতে হবে এবং বিশ্বাসযোগ্য অনুবাদক ও নোটারি পাবলিক দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে।

*** কনস্যুলার কর্মকর্তারা প্রয়োজনে অতিরিক্ত নথি চাওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করেন। ***



বিএনএ, এসজিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ