বিএনএ বিনোদন ডেস্ক: দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। যার কণ্ঠে আশ্রয় নিয়েছে ১৮টি ভাষা। প্রাণ পেয়েছে ১০ হাজারের বেশি গান। যিনি আমাদের উপহার দিয়েছেন, আল্লাহ মেঘ দে, বন্ধু তিনদিন তোর বাড়িত গেলাম দেখা পাইলাম না, একা একা কেন ভালো লাগে না, ইস্টিশনে রেলগাড়িটা, সাধের লাউ, খাঁচার ভিতর অচিন পাখি—এমন অসাধারণ জনপ্রিয় শতাধিক বাংলা গান। আজ তার ৬৯তম জন্মদিন। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে জন্মদিনটিকে ঘিরে বড় কোনো আয়োজন থাকছে না।
তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় জন্মদিনের শুভেচ্ছায় ভাসছেন এ শিল্পী। জন্মদিনে রুনা তার ভক্ত ও সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন। মহামারি এই করোনা থেকে মুক্ত হয়ে সবাই নতুন পৃথিবী দেখবে বলেও প্রত্যাশা করেন তিনি।
১৯৫২ সালে সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন রুনা লায়লা। বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা আনিতা সেন ওরফে আমেনা লায়লা ছিলেন সংগীতশিল্পী।
তার মামা সুবীর সেন ভারতের বিখ্যাত সংগীতশিল্পী। দীর্ঘ সংগীত জীবনে ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান করেছেন তিনি। কুড়িয়েছেন উপমহাদেশের কোটি মানুষের ভালোবাসা। তার ‘দমাদম মাস্ত কালান্দার’ গান উপমহাদেশ বিখ্যাত।
পাকিস্তানের ‘জুগ্নু’ ছবিতে প্রথম প্লে-ব্যাক করেন রুনা। ১৯৭৪ সালে প্রয়াত সত্য সাহার সুরে ‘জীবন সাথী’ ছবিতে গান দিয়ে বাংলাদেশের ছবিতে প্রথম প্লে-ব্যাক করেন। এরপর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অসংখ্য ছবির গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।
নন্দিত এই শিল্পী অভিনয় করেছেন ‘শিল্পী’ নামক চলচ্চিত্রেও। দীর্ঘ সংগীত জীবনে ভূষিত হয়েছেন নানা পুরস্কারে। এরমধ্যে রয়েছে পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার। এ ছাড়া ভারত থেকে পেয়েছেন সায়গল পুরস্কার। পাকিস্তান থেকে অর্জন করেছেন নিগার, ক্রিটিক্স, গ্র্যাজুয়েটস পুরস্কারসহ জাতীয় সংগীত পরিষদ স্বর্ণপদক।
নব্বইয়ের দশকে গিনেস বুকে স্থান পান এই শিল্পী। রুনা লায়লা বলেন, জন্মদিন অবশ্যই বিশেষ। এ দিনটিতে আমার ভক্ত, শুভাকাঙ্ক্ষী ও সহকর্মীদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা পেয়ে থাকি। মানুষের ভালোবাসাই আমার এ পর্যন্ত চলার পথের শক্তি। এই ভালোবাসাটা আমৃত্যু পেতে চাই।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ,আর আর খান